অবশেষে স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলায় ৩ বছর ৭ মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। বুধবার বিকাল ৫টা ৩৮ মিনিটের দিকে একটি সাদা প্রাইভেটকারে কারাফটক দিয়ে বেরিয়ে আসেন বাবুল আক্তার।
এদিকে বাবুল আক্তারের মুক্তির খবরে গণমাধ্যম কর্মীরা ভিড় করেন কারাফটকে।
জেল থেকে বের হয়ে বাবুল আক্তার উপস্থিত সাংবাদিকদের কিছু বলেননি। তবে বাবুল আক্তারের স্ত্রী নুসরাত জাহান মুক্তা বলেছেন, তার (বাবুল আক্তারের) নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এজন্য তাকে কড়া নিরাপত্তায় জেল থেকে বের করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন। তিনি যুগান্তরকে জানান, সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে আসার পর যাচাই-বাছাই করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
গত ২৭ নভেম্বর বাবুল আক্তারকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের জামিন আদেশ এবং আদালতের বেইল বন্ড পাঠানোর পরও নানা জটিলতার কারণে তিন দিন তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার বাবুলের জামিন আদেশে স্থগিত চেয়ে চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন তার শ্বশুর ও মামলার বাদী মোশাররফ হোসেন। শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হলেও আদেশের তারিখ পিছিয়ে যায়। বুধবার শুনানি শেষে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত বাবুল আক্তারের জামিন বহালের আদেশ দেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে।
গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ১২ মে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওই দিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে ছিলেন বাবুল।