তারেক রহমান ও জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে কুৎসা রটানোর অভিযোগে ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে পাঠানো এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচারে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগের পর তা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে প্রতীয়মান হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে বহিষ্কার করার বিষয়টি নিশ্চিত করে আরো বলা হয়, কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সকল পর্যায়ের পদ থেকে বাহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতক্রমে গৃহিত হয়েছে।
বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের এই মুহূর্তে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ-এর সঙ্গে সকল যোগাযোগ থেকে বিরত থাকার অনুরোধও করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের একটি অডিও কল ফাঁস হয়। যেখানে তাকে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
ফাঁস হওয়া অডিও কলে মোবাইলের অপরপ্রান্তে আরেক বিএনপি নেতা বরকতুল্লাহ বুলুর কণ্ঠ শোনা যায়।
ফাঁস হওয়া অডিও কলে বিএনপির মহাসচিবকে নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন ব্যারিস্টার মওদুদ। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার ফোন ধরেন না বলে জানান। বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ব্যারিস্টার মওদুদ ফোনালাপে এমনটাও জানান তিনি।
১০ মিনিটের ১২ সেকেন্ডের সেই অডিও কলে বিএনপির বর্তমান পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন মওদুদ। যেখানে তারেক জিয়া থেকে শুরু করে ড. কামালের নাম উঠে আসে।