বরিশালের আগৈলঝাড়ার শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ফারুক ফকিরের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক ফারুকের লালসার শিকার এক ছাত্রী ধর্ষকের (ফারুক) বিচার না হলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে।
অভিযোগকারী ওই ছাত্রী জানান, তিনি বাকাল গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাধারণ পরিবারের মেয়ে। একই গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষক ফারুকের কাছে পড়াশুনায় সহযোগীতা কামনা করেন তিনি। তার সরলতার সুযোগে শিক্ষক ফারুক বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
ওই ছাত্রীর দাবি তার মতো অনেক ছাত্রী ফারুকের লালসার শিকার হলেও লোকলজ্জা আর মানসম্মানের ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি। এর আগে ফারুকের লালসার শিকার হয়েছে একই গ্রামের সংখ্যালঘু অপর এক ছাত্রী। এছাড়াও সাবেক এক প্রকৌশলীর মেয়ের শ্লীলতাহানী ঘটায় এই ফারুক। বিষয়টি জানাজানি হলে ফারুক ওই ছাত্রীর পরিবারের কাছে মাফ চেয়ে নিস্তার পায়। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের এক ছাত্রীর সর্বনাশ করায় ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ কারণে কলেজ থেকে বহিস্কারও করা হয়।
বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে কলেজ গভর্নিং বডির কতিপয় সদস্যকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে ছাত্রীকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দিয়ে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করা হয়। অভিযুক্ত প্রভাষক ফারুকের বিচার না হলে ওই ছাত্রী আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে।
কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী হাওলাদার ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কমলা রানী মন্ডল অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, অভিযোগের মধ্যে অনেক ঘটনাই সত্য। অভিযোগ পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভায় নৈতিকতা ও শৃংখলা পরিপন্থী এজেন্ডায় ফারুককে সতর্ক করে তার অভিভাবককে বিয়ের জন্য এক মাসের সময় দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বিয়ে না করলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগৈলঝাড়ার ইউএনও আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল বলেন, অভিযোগকারী তার কাছে লিখিত অভিযোগ করলে তিনি কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। তারপরও ওই শিক্ষককে নজরদারীতে রাখতে অধ্যক্ষকে পরামর্শ দেয় হয়েছে বলে ইউএনও জানান।