‘২ হাজার ৭০০ প্রার্থী থেকে সব যোগ্যতায় উত্তীর্ণ ১৫ নারীকে ফায়ার সার্ভিসে ফায়ার ফাইটার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা ফায়ার সার্ভিসের ইতিহাসে প্রথম।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সে ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ পাওয়া প্রথম ব্যাচের ১৫ নারী ফায়ার ফাইটারের নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণ শেষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। তারপরও যেখানে প্রয়োজন সেখানে আরও ফায়ার স্টেশন নির্মাণ কাজ চলছে। চাহিদা অনুযায়ী আমাদের ফায়ার সার্ভিসে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসকে সমৃদ্ধ করা হচ্ছে অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি দিয়ে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের সেবা চ্যালেঞ্জিং। শুধু চ্যালেঞ্জিং নয়, সব সময় যেকোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হয়। হঠাৎ অগ্নিকাণ্ড বা ভূমিকম্প হতে পারে। যেকোনও কিছু মোকাবিলার জন্যই তাদের প্রস্তুত থাকতে হয়। আগুন লাগলে অগ্নিসেনাও দগ্ধ হতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের ফায়ার ফাইটারদের অগ্নিদগ্ধ হতে দেখেছি, আহত হতে দেখেছি।’
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সেবা সম্প্রসারণে আমরা নারীদের নিয়োগ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা দেখেছি, পুলিশ বা বিজিবি যেখানেই নারীদের নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেখানে সাহসিকতার সঙ্গে তারা ভালো কাজ করছেন। ফায়ার সার্ভিসে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পাওয়া নারী ব্যাচের সদস্যরা আরও ভালো করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
তিনি আরও বলেন, দেশের নারীরা সকল সেক্টরে ভালো করছে। বিশ্বের অনেক দেশেই ফায়ার ফাইটার হিসেবে নারী সদস্য নেই। এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত এই নারী সদস্যরা। তারা অগ্নিনির্বাপণসহ প্রতিটি দূর্যোগকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন– ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন ও ফায়ার সার্ভিসের পরিচালকরা।