বরিশাল ইন্দে-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান অনুমোদনহীন ও নিষিদ্ধ ঔষধ জব্দ করেছে র্যাব-৮। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে র্যাবের রুদ্ধদার অভিযান।
র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক রাকিব উজ জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে বিক্রয় নিষিদ্ধ ঔষধ বিক্রি করছে ইন্দো বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডে অভিযান চালানো হয়। মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে অভিযান। অভিযানে বিপুল পরিমান অনুমোদনহীন ও নিষিদ্ধ ঔষধ জব্দ করা হয়। তবে রাতের কারণে অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে। আগামীকাল (আজ বুধবার) সকালে ফের অভিযান চালানো হবে।
সারা রাত প্রতিষ্ঠানটি তাদের তত্ত্বাবদানে থাকবে বলে জানান তিনি। অভিযানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রিপন বিশ্বাস, ড্রাগ সুপার তানভীর আহম্মেদ সহ র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। ড্রাগ সুপার তানভীর আহম্মেদ নিউজ বরিশালকে বলেন, ইন্দো বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস এর অনেক পণ্য অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরেও তারা ঔষুধগুলো উৎপাদন ও বিক্রি করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের সহযোগীতায় প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান পরিচালিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সাংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতি পূর্বে নিষিদ্ধ কোন ঔষধ তারা বিক্রি করে থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জব্দকৃত ঔষধের মধ্যে মেট্রল, ইন্দোমল প্লাস, নিওর্স্টিন আর, ইন্দোপ্রোক্স মিক্স, রেনিটিডিন, রিবোফ্লাভিন সহ ৬ অনুমেদনহীন ও ২টি নিষিদ্ধ ঔষধ জব্দের তালিকায় রয়েছে। এদিকে দুপুর ২টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও কেন অভিযান সমাপ্ত হয়নি এমন প্রশ্ন জনমনে বিরাজ করছে। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, ঔষধ পরীক্ষক বা জেলা ড্রাগ সুপার ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকায় এ দেরী হয়েছে। পাশাপাশি ইন্দো বাংলা র্ফামাসিটিক্যালসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এএফএম আনোয়ারুল হক কাগজপত্র দেখানো নিয়ে টালবাহানা করে দীর্ঘ সময় ব্যায় করেছে বলে জানা গেছে। ইন্দো বাংলা র্ফামার এমডি আনোয়ারুল হক বলেন, যে সকল ঔষধ নিষিদ্ধ ও অনুমোদনহী রয়েছে তা মান যাচাইয়ের জন্য অনুমতির আবেদন জানানো হয়েছে।