এপ্রিল ২১, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
দূর্ঘটনা প্রচ্ছদ প্রশাসন বরিশাল

বরিশালে ধর্ষণের পর হত্যা- মামলার প্রধান আসামির মৃত্যু

বরিশালে চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্রী সাদিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি সিরাজের মৃত্যু হয়েছে। বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অসুস্থ সিরাজকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি।

সিরাজ মঠবাড়িয়া উপজেলার খেজুরবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়মাছুয়া গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ্ অ্যান্ড টেকনোলজির প্যাথলজি বিভাগের ছাত্রী ও বরিশাল নগরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ডেফুলিয়া এলাকার আলমগীর খানের মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ায় নিয়ে গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন তিনি। গত ০২ ডিসেম্বর সিরাজের সঙ্গে ও ১৪ বছরের হাফিজকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার (০৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় হাজতি সিরাজকে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলেই তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য কারা হাসপাতালের সহকারী সার্জনের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কারাগারে আসার আগেই সিরাজ আহত ছিলেন। হাসপাতালের মৃত্যুর প্রমাণপত্রেও শারীরিক আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনার এসএম রুহুল আমিন জানান, গত ১৯ নভেম্বর সাদিয়াকে মঠবাড়িয়ায় এলাকায় নিয়ে যান মামলার প্রধান আসামি সিরাজ। সেখানে দুই সহযোগীর সহায়তায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও পরে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সিরাজসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে গত ০২ ডিসেম্বর সিরাজ ও তার সহযোগী হাফিজকে গ্রেফতারের পর তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে সাদিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলেই তার মৃত্যুর সঠিক কারণ যানা যাবে।

এছাড়া মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান এস এম রুহুল আমিন। জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, সিরাজকে গত ০৫ ডিসেম্বর হাজতি হিসেবে (৮১৩৫/১৭) হাতে পায় কারাগার কর্তৃপক্ষ। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে ০৮ ডিসেম্বর শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে সুরতহাল ও ময়না তদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণ জানা যাবে না। এজন্য তিনি একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন।

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. বদরুজদৌজা জানান, আসামি সিরাজুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর সময় তার শরীরে জখম ছিল। অবস্থার অবনতি হলে সিরাজকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আওলাদ হোসেন জানান, সুস্থ অবস্থায় আসামি সিরাজকে কারাগারে পাঠানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে- হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

banglarmukh official

বরিশালে দুর্ঘটনায় নিহত ২

banglarmukh official