বা:মু:প্র: মাহামুদ হাসান
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে নেমেছে মানুষের ঢল। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকেই বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের ঢল নামে সেখানে।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ সবার পরনে শোকের প্রতীক কালো পোশাক। হাতে ফুল ও তোড়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা জানাতে লাইনে দাঁড়িয়েছে।
মিরপুর ১ নম্বর গোলচত্বর থেকে মাজার রোড পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুই দিক থেকে হাজার হাজার মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অপেক্ষা করছেন লাইনে দাড়িয়ে। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে উপস্থিত হন।
সকাল ৭টার পরপরই মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে হাজির হন রাষ্ট্রপতি। এরপর স্পিকারসহ অন্যান্যদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধটি সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের ঠিক আগে আলবদর, আলসামস, রাজাকার বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পাক হানাদার বাহিনী এ দেশের অসংখ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
তারা মূলত এ দেশকে মেধাশূন্য করার জন্যই এমন জঘন্য কাজটি করেছিল। তবে বীরের জাতি ‘বাঙালীরা’ তাদের সে উদ্দেশ্য সফল করতে দেয়নি। আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। সারা বিশ্বে আজ আমরা প্রশংসিত। প্রায় সব ক্ষেত্রেই পাকিস্তানিদের চেয়েও বাংলাদেশ আজ ভালো অবস্থানে রয়েছে।
নির্মম নির্যাতনের স্মৃতিচিহ্ন বুকে নিয়ে স্মৃতির ভূমিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় সকাল থেকেই একটি ভারি আবহ সৃষ্টি হয় সেখানে। জঙ্গিবাদমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে দেখা যায় তাদেরকে।