ভোট নাগরিকদের সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক-এ মর্যাদা কেড়ে নিতে দেবেন না বলে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও ঢাকা-১২ আসনের প্রার্থী জোনায়েদ সাকি।
শুক্রবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে সাকি রোববার সকাল বেলা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘গণমানুষের রায় দিয়ে বৈধ একটি সরকার প্রতিষ্ঠা হয়। জনসম্মতিহীন সরকার দমন-পীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে। জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আসলে জনগণের প্রতি কোনো দায়িত্বশীলতা বা জবাবদিহিতারও কোনো প্রয়োজন তার হয় না।
তিনি বলেন, ‘সরকার ভীতি আর গুজব ছড়িয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করে একতরফা নির্বাচনের যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের সেই সাজানো ছকের একমাত্র জবাব হবে ভোটকেন্দ্রে জনগণের মুখর উপস্থিতি। ভয়মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মানুষ সেই জনরায় প্রদান করবে।
সাকি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যাংকখাতে যে লুণ্ঠন হয়েছে, বিপুল দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে, গুম-খুন আর ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রধান কারণ ২০১৪ সালে জনগণের সম্মতি ছাড়া একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠাই তাই ৩০ তারিখের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান অর্জন হতে পারে। এ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার পথ ধরেই জনগণের আর সব অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে নির্বাচনের একদিন আগ পর্যন্ত প্রচারের সমান সুযোগ আপনারা নিশ্চিত করতে পারেননি। মানুষ যেন অন্তত ভোটকেন্দ্রে নির্ভয়ে যেতে পারেন, ভোট দিতে পারেন, ভোট যাতে ঠিকঠাক গণনা হয় ও ফল প্রকাশ হয় তার ব্যবস্থা করুন। এতটুকু নিশ্চিত করতে পারলেও জাতি আপনাদের কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ রাখবে। নাহলে আপনারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আপনারা রাষ্ট্রের কর্মচারী। আপনাদের কাছে সে অনুযায়ীই নিরপেক্ষ আচরণ প্রত্যাশা করছি। আপনারা সে দায়িত্ব নিজ নিজ পেশাগত মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে পালন করবেন, সেটাই আপনাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা থাকবে।’
বিবৃতিতে ভয়মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ৩০ তারিখ সকাল বেলা ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে যোগ্য প্রার্থীদের ভোট দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।