কক্সবাজার জেলার ১২টি আশ্রয় শিবির এবং মিয়ানমার সীমান্তের কাছে অস্থায়ীভাবে বসবাসরত ৬ সপ্তাহ থেকে ৬ বছর বয়সী রোহিঙ্গা শিশুদের কলেরা ও অন্যান্য প্রতিরোধযোগ্য রোগের টিকা দান কর্মসূচি মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে।
ইউনিসেফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং জিএভিআই ও ভ্যাসিন অ্যালায়েন্সের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকার এই কর্মসূচি শুরু করেছে। এই কর্মসূচির আওতায় কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার প্রায় ২ লাখ ৫৫ হাজার শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হবে। সরকার ও স্বাস্থ্য অংশীদারগণ কলেরা চিকিৎসা ও প্রতিরোধে তাদের সহযোগিতা বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে।
বিভিন্ন সূচকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও অন্যান্য স্থানে বসবাসরত রোহিঙ্গা শিশুদের অসুস্থতা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেইগবেডার বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মত দুস্থ জনগণ সাধারণত: নিয়মমাফিক কলেরার টিকা গ্রহণ করে না।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার সম্ভাব্য সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কলেরার অব্যাহত প্রাদুর্ভাবে সরকারের অনুরোধে হু, ইউনিসেফ ও অন্যান্য স্বাস্থ্য অংশীদারগণ দ্রুত সাড়া দেয় এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করায় আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।