একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল – ৫ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও জাতীয় পার্টি’র তিন মনোনীত প্রার্থীর উপস্থিতিতে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে বরিশালের রজনীগন্ধা কমিউনিটি সেন্টারে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হল ‘শান্তিতে বিজয় ‘শান্তি উৎসব’।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত “শান্তিতে বিজয়” ক্যাম্পেইনের “শান্তি উৎসব” আয়োজনে অংশ নেন বরিশাল জেলার প্রধান তিনটি দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, যুব প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকগণসহ ভোটারদের একটি অংশ। এক জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে প্রায় ৩০০ মানুষের এ আয়োজনের অংশ হিসেবে ছিল শান্তি র্যায়লী, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কুইজ সেশন, ভিডিও প্রদর্শনী, শান্তির অঙ্গীকার পাঠ, শান্তির পক্ষে ভোট ও দেশাত্মবোধক গান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ -এর মনোনীত প্রার্থী কর্ণেল অবসরপ্রাপ্ত জাহিদ ফারুক শামিম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল -এর মনোনীত প্রার্থী এ্যাড, মজিবর রহমান সরোয়ার, এবং জাতীয় পার্টি -এর মনোনীত প্রার্থী এ্যাড. মুর্তাজা আবেদীন। সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোঃ হানিফ, ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্কাস হোসেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা/স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের রিজিওনাল ম্যানেজার দিপু হাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে তিন প্রার্থীই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারণার পক্ষে মতামত প্রদান করেছেন এবং তাঁরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের আশ্বাস দেন। বক্তব্য শেষে তাঁরা তরুণ ভোটারদের প্রশ্নের উত্তর দেন। শেষ পর্বে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রফেসর মোঃ হানিফ এবং তিনিই সকল অংশগ্রহণকারীকে শান্তির অঙ্গীকার পত্র পাঠ করান।
ইউএসএআইডি এবং ইউকেএইড এর যৌথ অর্থায়নে এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের Strengthening Political Landscape (SPL) প্রকল্পের আওতায় “শান্তিতে বিজয়” ক্যাম্পেইনটি পরিচালিত হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও সহনশীল রাজনীতির চর্চা বৃদ্ধিতে, ‘শান্তিতে বিজয়’ ক্যাম্পেইনটি বাংলাদেশের সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, প্রার্থী এবং সাধারণ জনগণকে সচেতন করবে ও তাদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ তৈরি করবে।
আজকের “শান্তির উৎসব” অনুষ্ঠানে বরিশাল – ৫ আসনের আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি’র তিন মনোনীত প্রার্থী রাজনৈতিক সহনশীলতা ও সম্প্রীতির সমর্থনে একসাথে বেলুন উড়িয়ে শান্তির অগ্রযাত্রার প্রতীক – শান্তি র্যা লীর উদ্বোধন করেন।