আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শিশু হত্যা ও সহিংসতার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে, এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বিদ্যমান ৫৪টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাশাপাশি আরো ৪১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রী রাজধানীর আগারগাঁও-এ ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স আয়োজিত ‘চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশন-২০১৭’ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশই শিশু। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং আমাদের রূপকল্প ও কৌশলগত পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে এদেরকে আমাদের কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে রাখতে হবে। সে লক্ষ্যে সরকার সব শিশুর জন্য নিরাপদ আবাস, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাকে কার্যকর ও শক্তিশালী করতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে উল্লেখ করে
আইনমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থ বছরে ১৩টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুকূলে ৫৬ হাজার কোটি টাকার শিশু কেন্দ্রিক বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে যা বিগত ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের চেয়ে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ প্রসঙ্গে আইন মন্ত্রী বলেন, লিগ্যাল নোটিশ হচ্ছে একটি আইনি প্রক্রিয়া তাই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এর জবাব দেওয়া হবে।
‘শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাইল্ড পার্লামেন্টের ১৫তম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, শিশুদেরকে সমতা এবং বৈষম্যহীন পরিবেশে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ওপর নির্ভর করছে আমাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যত। তাই শিশু অধিকার আইন বাস্তবায়নে ও শিশু অধিকার নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন সরকার তার সবই করছে।
তিনি বলেন, শিশু অধিকার রক্ষা সংক্রান্ত দুটি চুক্তি যথা, শিশু অধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন (ইউএনসিআরসি) এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার বিষয়ক কনভেনশন (সিআরপিডি) এর অনুস্বাক্ষরকারী প্রথম কয়েকটি দেশের অন্যতম হলো বাংলাদেশ।
শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার যে ধরনের পদক্ষেপ, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নেওয়া প্রয়োজন তা নেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে শিশু সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন, বিধি ও নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে এবং শিশুর প্রতি সহিংসতা দমন বিষয়ক আইনগুলোকে আরও বেশি কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অধিবেশনে দেশের ৬৪টি জেলার চাইল্ড পার্লামেন্টারিয়ানবৃন্দ এবং সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।