নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫ ছিনতাইকারী ও পকেটমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসব ছিনতাইকারী ও পকেটমার মানুষের মোবাইল ও ব্যাগ হাতিয়ে নিতে সময় নেয় মাত্র ৩০ সেকেন্ড।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান।
রোববার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে নগরের নিউমার্কেট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
এসএম মেহেদী হাসান বলেন, পুরো নগর জুড়ে ছিনতাই করে বেড়ায় তারা। স্টেশন কেন্দ্রিক এসব ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য বেশি। কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে পুরো নগর জুড়ে তারা ছিনতাই করে বেড়ায়।
গ্রেফতার ছিনতাইকারীরা হলো- রাব্বি আল আহম্মদ (২০), মো. মামুন (২৯), মো. সোহাগ (২৬), জয় বড়ুয়া প্রকাশ আব্দুল (১৮), মো. আজিম প্রকাশ আজম (২২), দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ দেলু (৩৭), মো. মামুন (১৮), মো. আল আমিন শেখ (২১), মো. রুবেল (৩০), মো. বশির (২৫), মো. মিন্টু (৩০), মো. শাহাদাত হোসেন বাবু (২৮), জয়নাল আবেদীন (১৯), মো. জহির (২৮) ও লেদু প্রকাশ আলাউদ্দিন প্রকাশ হাসান (৩০)।
এদের মধ্যে রাব্বি আল আহম্মদ এ গ্রুপের লিডার। গত আট বছর ধরে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া মামুনের বিরুদ্ধে তিনটি, সোহাগের বিরুদ্ধে দুইটি, জয় বড়ুয়ার বিরুদ্ধে চারটি, আজিমের বিরুদ্ধে ১০টি, দেলোয়ারের বিরুদ্ধে আটটি, আল আমিনের বিরুদ্ধে একটি ও বশিরের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা রয়েছে বলে জানান কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজল দাশ সাংবাদিকদের বলেন, চার থেকে পাঁচ জনের গ্রুপে ভাগ হয়ে তারা ছিনতাই ও পকেট মারে। বাসে যাত্রীরা ওঠার সময় একজন ধাক্কা দেয়, এ সময় আরেকজন এসে পাশে দাঁড়ায়। গ্রুপের আরেক সদস্য এসে পকেট থেকে মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে আরেকজনের কাছে হস্তান্তর করে দেয়। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময় নেয় তারা।
এসব ছিনতাইকারী ও পকেটমারেরা নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে থাকে বলে জানান সজল দাশ।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফসহ অভিযান পরিচালনাকারী টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।