চট্টগ্রামকে ৫২টি সাংগঠনিক এলাকায় ভাগ করে নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনা করছে জামায়াত-শিবির। নির্বাচন বানচালের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছে ১২৯ শিবির ক্যাডার। সম্প্রতি জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন নথি থেকে এসব তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে নিবন্ধন হারানো জামায়াত নেতা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এক আসনে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন একটি আসনে।
২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাতে চট্টগ্রামে থানায় হামলাসহ ব্যাপক নাশকতা করে জামায়াত-শিবির। সম্প্রতি চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মিছিলে গুলি চালিয়েছে শিবির কর্মীরা। এবার ভোটগ্রহণের সময় সবাই যখন কেন্দ্রে ব্যস্ত থাকবে, তখন থানা-ফাঁড়ি আক্রমণ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে নির্বাচন বানচালের পরিকল্পনা করছে জামায়াত।
চট্টগ্রাম রেঞ্জ এর পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা জানান, ‘বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের তথ্য দিয়েছে, আমাদের নিজস্ব তথ্যও রয়েছে যে জামায়াতের প্রার্থীরা বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে। তাদের একটা উদ্দেশ্য থাকবেই যে তাদের বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে, বা তাদের আরও যে অনুসারী আছে, তাদেরকে একত্র করে এসব জায়গায় বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। যদি কেউ এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়, সেক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স অবলম্বন করবো।’
নাশকতার এই পরিকল্পনার কথা মাথায় রেখে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ছক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুবর রহমান জানান, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অথবা কোনও আন্দোলনের নামে কোনরকম ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি যদি কেউ গ্রহণ করে, তাহলে সরকার এবং আইন আমাদেরকে যতটুকু ক্ষমতা দিয়েছে তা দিয়ে এই ধ্বংসাত্মক কর্মসূচিকে নস্যাৎ করা হবে। আমরা আইন অনুযায়ী আমাদের সকল শক্তি প্রয়োগ করবো।’
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রামে ১৬টি আসনের এক হাজার ৮৯৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে আট শতাধিক কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় নিয়ে বাড়তি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।