হুজাইফা রহমান:
আজ ৭ ডিসেম্বর; বরিশালের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মীর মোস্তাক হোসেন সেন্টু’র ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। ৮ মার্চ ১৯৭১ সালে বরিশাল সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠে বরিশালের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ শুরু করেন।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন রনাঙ্গনে বীরত্বের সহিত যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। সর্বশেষ তিনি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন বাকেরগঞ্জ থানা আক্রমনে। দীর্ঘ ৩২ ঘন্টা সম্মুখ যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর আক্রমনে শহীদ মীর মোস্তাক হোসেন সেন্টু শাহাদাৎ বরণ করেন।
শহীদ মীর মোস্তাক হোসেন সেন্টু বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। এবং সরকারী বি. এম. কলেজের ১ম বর্ষের ছাএ ছিলেন। তিনি বরিশালের বগুড়া রোড, পেষ্কার বাড়ীস্থ মরহুম মীর মোয়াজ্জেম হোসেনের ৬ষ্ঠ সন্তান।
উল্লেখ্য যে, এটাই ছিল বরিশাল অঞ্চলের সব চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও শেষ যুদ্ধ। এ আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পাক হানাদার বাহিনী নৌ-পথে ৮ ডিসেম্বর বরিশাল ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। নগরীতে ঢুকে পড়ে মুক্তিযোদ্ধারা। আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে নগরবাসী। ঘরে ঘরে উত্তোলিত হয় স্বাধীনতার পতাকা। মুক্ত হয় বরিশাল।