ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে কার্গোর সঙ্গে সংঘর্ষে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের তলা ফেটে গেছে। এতে পানি প্রবেশ করতে থাকায় লঞ্চটি বরিশাল নৌ বন্দরে নোঙর করা হয়। প্রাণে বেঁচে যান প্রায় দেড় হাজার যাত্রী।
মঙ্গলবার রাত ৮টায় ঝালকাঠির গাবখান চ্যানেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চটি মেঘনা নদীতে প্রবেশ করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়ত বলে মনে করছেন বিআইডব্লিটিএ’র কর্মকর্তারা।
লঞ্চের যাত্রীরা জানান, বরগুনা থেকে ঢাকায় আসছিল যাত্রীবাহী শাহরুখ-১ নামের একটি লঞ্চ। রাত ৮টার দিকে ঝালকাঠির গাবখান চ্যানেলে একটি কার্গোর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় লঞ্চটির। এ সময় লঞ্চের তলা ফেটে ভেতরে পানি প্রবেশ করতে থাকে। যাত্রীরা অনেকবার মাস্টারকে লঞ্চটি নোঙর করতে বললেও তিনি তা করেননি। পাশাপাশি প্রথম থেকেই সার্চ লাইট না জ্বালিয়ে মাস্টার বেপরোয়াভাবে লঞ্চ চালাচ্ছিলেন বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন। একপর্যায়ে যাত্রীরা হুলস্থুল শুরু করলে মাস্টার বাধ্য হয়ে বরিশাল নদী বন্দরে লঞ্চটি নোঙর করান। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় প্রায় দেড় হাজার যাত্রী।
এরপরেই বিআইডব্লিউটিএ, নৌ পুলিশ ও থানা পুলিশ যাত্রীদের বরিশাল নদী বন্দরে নামিয়ে দেয়।
তবে লঞ্চটির যতটুকু অংশ ফেটে গিয়েছিল তাতে ঢাকা পৌঁছাতে কোনো সমস্যা হত না বলে দাবি করেছেন শাহরুখ ১ লঞ্চের মাস্টার উজির অালী। তিনি বলেন, সামান্য অংশ ফেটে গিয়েছিল। এতে কোনো সমস্যা হত না। যাত্রীদের হুলস্থুলতার কারণে লঞ্চ নোঙর করা হয়েছে।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের শিপ সার্ভেয়াররা লঞ্চটি পর্যবেক্ষণ করছেন। পূর্ণাঙ্গ সার্ভে না করা পর্যন্ত লঞ্চটিকে যাত্রার জন্য উপযোগী বলা যাচ্ছে না। তাই লঞ্চটির যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি যেকোনো অবস্থাতেই লঞ্চটিকে বরিশাল নদী বন্দর থেকে অন্য কোথাও না নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, লঞ্চটি মেঘনা নদীতে গিয়ে বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারত।
এছাড়া যাত্রীদের বিষয়ে তিনি জানান, বিকল্প লঞ্চ না আসা পর্যন্ত অর্থাৎ সকাল পর্যন্ত তাদের বন্দরে অথবা লঞ্চে অবস্থান নিতে হবে। এক্ষেত্রে নৌ পুলিশ ও থানা পুলিশ নিরাপত্তার জন্য সারারাত বন্দরেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।