এই সমুদ্রপথ দিয়ে গেলে আর কোনো জাহাজ নাকি ফিরে আসে না। উড়ন্ত বিমানও নাকি উধাও হয়ে যায়। না, বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নয়- এটা জাপানের ড্রাগন ট্রায়াঙ্গল। এটাকে ‘ডেভিল সি’ বলা হয়ে থাকে।
প্রশান্ত মহাসাগরে জাপানের উপকূলের কাছেই এ ‘ডেভিল সি’র ভৌগোলিক অবস্থান। বারমুডা ট্রায়াঙ্গল উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিমে। এটি জাপানের দক্ষিণে। জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ১০০ কিমি. দূরে মিয়াকের কাছেই নাকি আজব সব ঘটনা ঘটে।
সেই পঞ্চাশের দশক থেকেই নাকি এখানে অসংখ্য জাহাজ উধাও হয়ে গেছে। খোঁজ করতে গিয়েও নাকি ফিরে আসেননি কেউ। তাই এ অঞ্চলকে এশিয়ার বারমুডা ট্রায়াঙ্গলও বলা হয়ে থাকে। জাপান ও ফিলিপিন্সের সীমান্তে জাপানের ইয়োকাহামা থেকে ফিলিপিন্সের গুয়াম পর্যন্ত, গুয়াম থেকে মারিয়ানা, আবার সেখান থেকে ইয়োকাহামা পর্যন্ত এই ‘ডেভিল সি’।
১৯৫২-৫৪ সাল নাগাদ নাকি পরপর বেশ কয়েকটি জাহাজ হারিয়ে যায়। এ সময় প্রায় ৭০০ সৈন্যও গায়েব হয়ে যান। কারও নাকি আর খোঁজই মেলেনি। এ ছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও নাকি ৫০০টি বিমান, ১০টি যুদ্ধজাহাজ, ১০টি নৌযান ওই এলাকায়ই ধ্বংস হয় বা হারিয়ে যায়।
রহস্য সন্ধানে কায়ো মারু নামে একটি জাহাজ পাঠিয়েছিল জাপান। সেখানে নাকি বিজ্ঞানীরাই ছিলেন। কিন্তু রহস্যভেদ করতে গিয়েও তারাও আর ফিরে আসেননি। ‘ড্রাগন ট্রায়াঙ্গল’-এর রহস্য নিয়ে চলেছে বিস্তর আলোচনা, নানা ব্যাখ্যা। পক্ষে-বিপক্ষে রয়েছে নানা যুক্তি। ৩১ জন বিজ্ঞানীর খোঁজ না মেলার কথা রটে যাওয়ার পর থেকে অনেকেই বলতে থাকেন, সমুদ্রের তলদেশে নাকি ড্রাগন রয়েছে। সেই থেকে নাম ‘ড্রাগন ট্রায়াঙ্গল’।
সায়েন্টিফিক আমেরিকানের তথ্য অনুযায়ী, ড্রাগন ট্রায়াঙ্গলের এ স্থানটিতে প্রায় ৩৭,০০০ মাইল এলাকাজুড়ে গভীর সামুদ্রিক খাদ রয়েছে।
এখানে প্রচুর পরিমাণে গরম লাভা ও কার্বন ডাইঅক্সাইড রয়েছে। তবে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের মতো ড্রাগন ট্রায়াঙ্গল নিয়ে বিপরীত মতও রয়েছে। যারা ভিন্নমত পোষণ করেন তাদের দাবি এগুলো আসলে কাল্পনিক।