রাজশাহীর-১ আসনে (গোদাগাড়ী-তানোর) আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী গোলাম রাব্বানীর নির্বাচনী শোডাউনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা হয়েছে। রবিবার দুপুরে গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের পিরিজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে তার সমর্থকরা জানিয়েছেন।
গোলাম রাব্বানী তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র। তিনি এবার রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। কয়েকদিন থেকে তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় পথসভা ও গণসংযোগ করছেন।
গোলাম রাব্বানীর সমর্থক আলী আহসান জানান, দুপুরে একটি গাড়িবহর নিয়ে গোলাম রাব্বানী গোদগাড়ীর মাটিকাটা ইউনিয়নের পিরিজপুর বাজারে আসেন। এ সময় পিরিজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরব আলীর নেতৃত্বে স্থানীয় এমপির সমর্থকরা গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এ সময় তারা হকিস্টিক ও লাঠি-সোঠা দিয়ে গোলাম রাব্বানীর সমর্থকদের মারপিট করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলার পর তারা দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়েন।
এ ঘটনার পর গোলাম রাব্বানীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে তারা ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা হামলাকারীদের ধাওয়া করে। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে অভিযোগ প্রসঙ্গে গোদাগাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আরব আলী বলেন, গোলাম রাব্বানীর লোকজন বর্তমান এমপি ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীকে কটূক্তি ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে অবমাননা করে স্লোগান দিচ্ছিল। এ কারণে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন মাত্র।
এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশী গোলাম রাব্বানীর অভিযোগ, নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাতে গিয়ে হঠাৎ করে কয়েকজন যুবক স্থানীয় এমপির পক্ষে স্লোগান দিয়ে তাদের গাড়িবহরে হামলা চালায়। এতে অন্তত ১৫ জন তার নেতাকর্মী আহত হন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের হামলায় ১০-১২টি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গোলাম রাব্বানীর গাড়িবহরে হামলার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে পুলিশ পৌঁছার আগেই হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।