ডাকসু নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে রবিবার লিভ টু আপিলের আবেদন জমা দেওয়া হয়। ওই আদেশে বলা হয়েছিল, আগামী ছয় মাসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) দিতে হবে।
প্রতিবছর ডাকসু নির্বাচন হওয়া কথা থাকলেও সর্বশেষ এ নির্বাচন হয়েছিল ২৮ বছর আগে, ১৯৯০ সালের ৬ জুলাই। ২০১২ সালে ২৫ শিক্ষার্থীর করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ জানুয়ারি ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মো. আখতারুজ্জামানসহ প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী ও কোষাধ্যক্ষ কামাল উদ্দিনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
হাই কোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে পাঠানো আইনি নোটিশের যথাযথ জবাব না দেওয়ায় ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
নির্বাচন নিয়ে গতকাল বরিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে ঢাবি উপাচার্য জানিয়েছিলেন আগামী মার্চে হবে ডাকসু নির্বাচন।
বৈঠক শেষে কবে ডাকসু নির্বাচন দেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, প্রভোস্ট কমিটি, শৃঙখলা পরিষদ ও সিন্ডিকেট থেকে একটি নির্দেশনা তো আগেই দেয়া আছে। ডাকসু নির্বাচনের জন্য কাজের যে লোড, যে কর্মপরিধি তা বিবেচনায় নিয়ে আমাদের এই কমিটিগুলো একটা নির্দেশনা ইতোমধ্যেই দিয়েছে, সেটা হলো মার্চ, ২০১৯। এই নিরিখে এখন পর্যন্ত আমাদের ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে। আশা করি অক্টোবরের মধ্যে খসড়া যে ভোটার তালিকা সেটি প্রণয়ন করবো। এই ভোটার তালিকা প্রণয়ন একটি জটিল কাজ। সেটি করতে পারলে অনেক এগিয়ে যাবো।