বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজীরহাট থানার জয়নগর ইউনিয়নে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে লতা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ যুবক শফিকুল ইসলাম তুহিনের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে লতা নদীতে তুহিনের মরদেহ পাওয়া যায়। শনিবার বিকেলে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালাতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল তুহিন। মৃত শফিকুল ইসলাম তুহিন হিজলা উপজেলার হরিণাথপুর ইউনিয়নের আহসান উল্লাহ খানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দুপুরে উপজেলার জয়নগরের আয়নাল কাজীর ঘরে জুয়া খেলা চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সাদা পোশাকে এসআই মো. মিজান, এসআই মো. শহিদ, এএসআই মো. সাগর ও এএসআই মো. রশিদসহ আটজনের একটি টিম অভিযান চালায়। এ সময় চারজন ওই ঘর থেকে বেরিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরবর্তীতে টিপু হাওলাদার, আলতাফ সরদার ও সুলতান হাওলাদার সাঁতরে তীরে উঠলে পুলিশ তাদের আটক করে। সেখানে তুহিন নিখোঁজ হয়।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে নদীতে তুহিনের মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে পরিবারকে মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ।
তুহিনের বাবা আহসান উল্লাহ খান বলেন, অভিযানে অংশ নেয়া এসআই ও এএসআইসহ আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। অভিযানের সময় পুলিশের কেউ পোশাকধারী ছিল না।
কাজীরহাট থানা পুলিশের ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, শনিবার মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে জয়নগরের আয়নাল কাজীর বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। এ সময় সেখানে জুয়া খেলারত একদল যুবক পুলিশ দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে তুহিন নামের ওই যুবক নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়। রোববার দুপুরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
ওসি বলেন, পুলিশের কাছে তথ্য ছিল জয়নগরে মাদকের ব্যবসা হচ্ছে। পুলিশ গিয়ে সেখানে যুবকদের জুয়া খেলারত অবস্থায় দেখতে পান। দুর্ঘটনার শিকার তুহিন নিজ বাড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে জয়নগর ইউনিয়নের ওই বাগানে জুয়া খেলায় অংশ নিয়েছিল। জুয়া খেলায় অংশ নেয়া যুবকরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
তবে হরিণাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, তুহিন মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। সে ডিগ্রি পাস করে ফিলিপাইন যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার ভিসাও হয়ে গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তার ফিলিপাইন যাওয়ার কথা ছিল। তার আর ফিলিপাইন যাওয়া হলো না।