হে বরিশালবাসীর জন্য নিবেদিত প্রান, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি। আজ নিরুপায় হইয়া কলম তুলে নিয়েছি। নির্বাচনের পূর্বে এক বৃদ্ধা মায়ের দড়জায় দ্বাড়িয়ে বৃষ্টি ভেজা আপনি আর বিপদে আপদে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি এবং নগরীর রিফুজী কলোনীর পুকুরে গোসল করতে থাকা বাচ্চাগুলার হাতে প্লাষ্টিকের বইয়ম থেকে চকলেট বিলী করে যে মহান ব্যক্তিত্ব আর বদন্যতা আপনি দেখিয়েছেন, সেটাই আমাকে এই লেখার উৎসাহ জুগিয়েছে মাননীয় মেয়র মহোদয়,আজ আপনাকে লিখছি বড় বেদনা নিয়ে। এই বেদনা- টাকার অভাবে এক জন্মদাতা পিতার বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়া তার সন্তানের। হে জনবন্ধু, আমি বলছি সরকারী বি,এম কলেজের অবৈধ কর্মপরিষদের বিতর্কিত জি. এস, RAB-10 এর হাতে ধৃত অবৈধ অস্র মামলার আসামি, ব্লাকমেইলার নাহিদ সেরনিয়াবাতের কথা। যার নামে ঝালকাঠি, বাবুগঞ্জ, বাখেরগঞ্জ,রাজধানী ঢাকাসহ বরিশালের প্রত্যেকটা থানায় জমিদখল, মারামারি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের একাধিক জি,ডি ও মামলা রয়েছে।
রয়েছে ৩/৪ টা এন,আই,এ্যাক্টের মামলাও। হে যুবরত্ন, অত্যন্ত আবেগে আপ্লুত হইয়া জানাচ্ছি যে, আমি দীর্ঘ ৭ বছর প্রবাস জীবন কাটাইয়া আসিয়া অতিব সুনামের সহিত প্রথমে “আশা ড্রেজিং” এরপরে ব্যানার সাইনবোর্ডের প্রতিষ্ঠান প্যারারারোডের “JS মিডিয়া সাইন” এবং সবশেষে “দেশ ব্রিকস” নামক ইটের বাটা পরিচালনা করিয়া আসিতেছিলাম। গত ২০১৬ সালে আমার ইট বাটায় আসিয়া দাদনে এ্যাডভান্স ইট খরিদ করে তার ঠিকাদারী কাজের জন্য, সেখান থেকেই পরিচয়। আমি আমার ব্যবসায়ীক মুনাফার কথা চিন্তা করিয়া তার সম্পর্ক বজায় রাখি।
কালক্রমে, আমার সামনে ল’কলেজের এক ছাত্রের নাহিদের বই কিনে দেওয়া, এক মহিলাকে কম্বল কিনে দেওয়া, নাহিদ তার পকেটের টাকা দিয়া এক ছেলেকে বি,এম কলেজে ভর্তি করে দেওয়া, ঝালকাঠি নেছারাবাদে খাশি দেওয়া দেখিয়া আমি আকৃষ্ট হই ও তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন হয়। তার এক স্ত্রী জনতা ব্যাংকে চাকুরী করে, তাকে দিয়া একটা লোন করানোর কথা বলিয়া আমার কাছ হইতে একখানা যৌথ মালিকানা চুক্তিপত্র চাহিলে এবং তা ১ সপ্তাহের মধ্যে লোন পাশ হইয়া যাওয়ার সাথে সাথে আমার চুক্তিপত্র আমাকে ফিরাইয়া দিবে বলিয়া প্রতিশ্রুতি দিলে আমি সরল মনে ঐ চুক্তিপত্র তাকে দেই। কিন্তুু প্রতারনা ও লোভের বশীভূত হইয়া ঐ চুক্তিপত্র তার কাছেই রেখে দেয় এবং একপর্যায়ে সে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়া আমার সাথে পৈশাচিক আচরন করিয়া আমার বাটা দখল করে, এবং গত ২ বছরে প্রায় ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। (ঝালকাঠীতে আমি মামলা করিলেও তার পালিত সন্ত্রাসীদের কারনে হাজিরা না দিতে পারায় মামলা নিষ্পত্তি হইয়া যায়)।
এছাড়াও তার অবৈধ অস্র মামলার জামিনের পরে তার হাতে কোন টাকাপয়শা না থাকার কারনে আমাকে মুনাফা দেওয়ার কথা বলিয়া নগদ টাকা নিয়া তার ঠিকাদারী কাজ পরিচালনা করে, প্রথম ২ দফা আমার বিনিয়োগকৃত টাকা এবং মুনাফা সাথে সাথে ব্যাংকে ডাকিয়া দিলেও পরবর্তিতে তার ৩টা ঠিকাদারী সাইডের জন্য নেওয়া ৬২৩৭,০০০/ বাষট্টি লাখ সাইত্রিশ হাজার টাকা তাহার নিজ নামীয় লাইসেন্স নাহিদ এন্টারপ্রাইজে বিল আসিলে উহা আত্মসাৎ করে এবং তার দেওয়া একাউন্টে চেক দিলে সেই এ্যাকাউন্টে কোন টাকা না থাকায় মামলা করিলে আজো সেই টাকারও কোন সমাধান করতে পারি নাই বিগত ২ বছর ধরে। ঝালকাঠি এবং বরিশালে তাহার ব্লাক মেইলের নিদর্শন স্বরুপ আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলার পর মামলা করিয়া আর্থিক ক্ষতি করেছে প্রায় অর্ধকোটি।
আমার মাথার উপর লক্ষ লক্ষ টাকা দেনা। আমি ইতিপূর্বে সংবাদ সম্মেলন এবং মানববন্ধন করিলে প্রসাশনের কাছ থেকেও কোন সহায়তা বা সমাধান পাই নাই-তাহার চাটুকর চতুরতার কারনে। যদিও প্রশাসন, মিডিয়া এবং সকল রাজনীতিবিদ এই বিষয়ে অবগত আছেন। তবুও মোটা অংকের উপঢৌকন পেয়ে সবাই নিরব। হে নগরপিতা, পিতৃহারা অবিভাবকহীন এক যুবকের আর্তনাদ নিশ্চয়ই আপনি নগরপিতার হৃদয়কে স্পর্শ করবে। আজ আমি সর্বোস্ব হারিয়ে নিঃস্ব। আশা রাখবো এই বিবেচনায় আমার ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। পরিসমাপ্তিতে এতটুকু কামনা করবো, “ছাত্রলীগ” হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী জাতির জনক বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া শক্তিশালী সর্বোবৃহৎ সংগঠন।
নাহিদ সেরনিয়াবাত এর মতন ছাত্রলীগ পরিচয়ধারীর জন্য তার ভাবমূর্ত বিনষ্ট না হয়।সেই সাথে আমি আমার ইট বাটা এবং সমূদয় পাওনা টাকা ফেরত পেতে পারি তাহার ব্যবস্থা করিতে আজ্ঞা হয়।
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়
মোঃ জাহিদ হোসেন
প্রোঃ দেশ ব্রিকস
সাং ৫নং ওয়ার্ড, বিসিসি। বরিশাল।
মোবাঃ ০১৭১২-৫২৬৫৩৪