ভারতের কর্নাটকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছে। নিহতের মধ্যে অধিকাংশই স্কুলশিক্ষার্থী। শনিবার দুপুরের দিকে রাজ্যটির মন্ধ্যা জেলায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা বাসটিকে পানির মধ্যে দেখতে পেয়ে উদ্ধারকাজে হাত লাগায়।
জানা গেছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবাহী বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জেলার পন্দাভাপুরা এলাকার ভিসি লেকে পড়ে যাওয়ার পরই তা পানির তলায় তলিয়ে যায়। তবে বাসটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ বাসটির ভেতরে থাকা সকলেই নিহত হয়েছে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে বাসটি লেকে পড়ার ঠিক আগের মুহুর্তে পানিতে ঝাঁপ দেয়ায় এক শিক্ষার্থী প্রাণে বেঁচে গেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই প্রকৃত তথ্য জানা যেতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।
বাসটি দুর্ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে জেলার পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা গিয়ে উদ্ধারকাজও শুরু করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকীদের খোঁজে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। অন্যদিকে ক্রেনের সহায়তায় পানি থেকে বাসটিকে উপরে তোলার চেষ্টা চলছে। লাশগুলোকে ময়নাতদন্তের জন্য এমআইএমএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মন্ধ্যা জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ পন্ডাভাপুরা এলাকায় একটি বাস জলাশয়ে পড়ে যায় এবং পানিতে ডুবে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাস দুর্ঘটনা পেছনে চালকের গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী জি.পরমেশ্বরা জানান, দুর্ঘটনায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমার বিশ্বাস বাসটির চালকের কোনো গাফিলতি ছিল, আমরা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এইচ.ডি.কুমারস্বামী সরকারি কাজ বাতিল রেখে ঘটনাস্থলের পৌঁছেছেন। নিহতদের পরিবার প্রতি আর্থিক ক্ষতিপূরণেরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।