আদমদীঘির কুশাবাড়ীর মণ্ডলপাড়ায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিজ ঘরে আগুনে দগ্ধ হয়ে হামিদুল (৫০) নিহত ও তার স্ত্রী হাফসা বিবি (৪৫) আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
ছেলে রহিদুল (৩০) তারা বাবা হামিদুলকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। হামিদুলের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার আগাপুর গ্রামের হামিদুল ইসলাম আদমদীঘির কুশাবাড়ী গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে দীর্ঘ ধরে বসবাস করে আসছে। তার ছেলে রহিদুল ইসলাম ৫/৬ বছর আগে গজারিয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে মর্জিনা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় ৩/৪ মাস আগে রহিদুল তার স্ত্রী মর্জিনাকে মৌখিক ভাবে তালাক দেন। এরপর স্ত্রীকে পুনরায় সংসারে ফিরে নিতে কয়েক দফা বৈঠক বসে। রহিদুলের বাবা হামিদুল ইসলাম তাতে রাজি হননি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রহিদুল বাজার থেকে ডাব কিনে নিয়ে এসে রাতে খাবার শেষে মা-বাবাকে খাওয়ান। পর তিনি পাশের ঘরে ঘুমাতে যান। রাত ১টার সময় হাফসার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পায় হামিদুল আগুনে পুড়িয়ে মারা গেছেন। হাফসা দগ্ধ অবস্থায় ছটফট করছেন। এসময় পাশের ঘরে থাকা তার ছেলে রহিদুল বাড়িতে ছিলেন না। তিনি তার বাবার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে আসেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল মণ্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওসি আবু সায়িদ মো. ওয়াহেদুজ্জামান আটকের কথা নিশ্চত করেন।