বরিশাল সদর (৫) আসনের বিএনপি সহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রার্থী এ্যাড,মজিবর রহমান সরোয়ার বলেছেন, বর্তমান সরকার এদেশ থেকে ভোটারের ভোটের রাজনীতি ধ্বংশ করে দিচ্ছে।আমি একজন প্রার্থী হয়েও ভোটারের কাছে গিয়ে মত প্রকাশ করতে পারছিনা পুলিশের বাধার কারনে কোন স্থানে গিয়ে ভোট চাইতে পারছিনা।
ইতিমধ্যে পুলিশ দিন-রাত বাসাবাড়িতে দলীয় নেতা কর্মীদের হানা দিয়ে গনগ্রেপতার অব্যাহত রেখেছে।আমরা জানতে পারছি না এটা কি সরকারের নির্দেশে করছে নাকি নৌকা প্রার্থীর নির্দেশে পুলিশ প্রশাসন করছে বুজতে পারছি না।আমরা রিটানিং অবিসার (জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কাংখিত কোন ফলাফল পাছনি না।এভাবে চলতে থাকলে ৩০ইডিসেম্বর সাধারন জনগন কোন ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবে তানিয়ে তিনি শংসয় প্রকাশ করেছেন।
(২৩ই ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
এসময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড.বিলকিস জাহান শিরিন, বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এ্যাড. সাদিকুর রহমান লিংকন,এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ,এ্যাড.নাজিম উদ্দিন আহমেদ পান্না,এ্যাড. অসিম কুমার বাড়ৈ,এ্যাড,আকতার হোসেন মেবুল,এ্যাড. মামুন হোসেন।
এসময় সরোয়ার আরো অভিযোগ করে বলেন,ইতি মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপি নেতা কর্মীদের একদিকে গন গ্রেপতার চালিয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে হুমকি ভয়ভীতি দেখিয়ে নেতা কর্মীদের এলাকা ছাড়া করছে যাতে করে ভোটের দিন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাররা যাতে ভোট দিতে না পারে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কথা আর মাঠের কাজের কোন মিল খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সরোয়ার আরো অভিযোগ করে বলেন আমরা এই সরকারের অধিনে সুষ্ট নির্বাচন হবে তা জেনেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এখন দেখছি মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে পুলিশ সহ বিভিন্ন লোকদের দিয়ে বাধা গ্রস্থ করা হচ্ছে।
একটি জাতীয় নির্বাচনে জনগনের উৎসবমূখর পরিবেশ থাকার কথা সেখানে বিভিন্ন গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের গ্রেপতার করা হচ্ছে।এভাবে চলতে থাকলে অবাধ সুষ্ট নির্বাচনের কোন পরিবেশ সৃষ্টি হবে না।নির্বাচনে সরকার ও তার পুলিশ বাহিনী যে পক্ষ পাতিত্ব করছে তাতে দেশে নির্বাচনের পরিবেশ আলো থেকে অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তিনি সেনা বাহিনী মাঠে নামা প্রসঙ্গে এক উত্তরে বলেন সেনা বাহিনী দেশ রক্ষা একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী এদর প্রতি সাধারন মানুষের বিশ্বাষ রয়েছে তিনি মনে করেন সেনা বাহিনী মাঠে সঠিক দায়ীত্ব পালন করলে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে বলে তার বিশ্বাষ।
তিনি বলেন, একজন প্রার্থীর বাসার চারপাশে পুলিশ মোতায়েন করা থাকলে কিভাবে কর্মীরা আসবে আবার যারা সাহস করে আসছেন তাদের গ্রেপতার করে নিয়ে বিভিন্ন মামলায় আসামী করে চালান দিচ্ছে।পরে সরোয়ার আবারো জেলা প্রশাসক দপ্তরে গিয়ে রিটানিং অবিসার এস এম অজিউর রহমানের সাথে দেখা করে পুনরায় নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য আহবান জানান।
ধানের শীর্ষ প্রার্থী সরোয়ার প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করতে আসছেন এসংবাদ পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানার একাধিক পুলিশ সদস্যরা পোষাকী ও সাদা ড্রেসে প্রেস ক্লাবের চার পাশে অবস্থান নেয় এসময় নগরীর ৩০ নং ওয়ার্ডের শাহিন নামের এক কর্মীকে আটক করে পুলিশ। এসংবাদ পেয়ে দলীয় ও নির্বাচন পরিচালনাকারী সদস্যরা গ্রেপতার হওয়ার আশংকায় প্রার্থীর সাথে কেহ প্রেস ক্লাবে আসেনি যার ফলে ৫/৬ জন আইনজীবীদের সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে আসেন।
পরে তিনি আইনজীবীদের সাথে নিয়ে সদর রোড.গির্জা মহল্লা আদালতপাড়া এলাকায় গনসংযোগ ও ভোট প্রার্থনা করেন।
অপরদিকে বিএনপি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. বিলকিস জাহান শিরিন বলেন,বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনের মধ্যে ভোলার তিনটি আসনের ধানে শীর্ষের প্রার্থীরা অবরুদ্ব হয়ে আছেন।অন্যদিকে ঝালকাঠী,পিরোজপুর,পটুয়াখালী এলাকায় সরকারী বাহিনীর হামলা-মামলা আর পুলিশের গ্রেপতারের মুখে ধানের শীর্ষের কর্মীরা ঘড় ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এপর্যন্ত বরিশাল সহ বিভাগের অন্য জেলায় তিন শতাধিক নেতা কর্মী গ্রেপতার করা হয়েছে।