রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হন আওয়ামী লীগ কর্মী মেরাজুল ইসলাম (২৫)। উপজেলার পাকুড়িয়া ভোট কেন্দ্রের সামনে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। সোমবার বিকেলে তার জানাযা শেষে দাফন করা হয়।
বিকেলে স্থানীয় স্কুল মাঠে মেরাজুল ইসলামের জানাযার আয়োজন করা হয়। জানাযায় অংশ নেন রাজশাহী-৩ আসনের দুইবারের এমপি আয়েন উদ্দিন। জানাযা শেষে কর্মীর লাশ কাঁধে বহন করে কবরস্থানে নিয়ে যান এমপি নিজে। কর্মীর লাশ বহনের এমপির এই ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
এর আগে মেরাজুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন এমপি আয়েন উদ্দিন।মঙ্গলবার সকালে সোনালী ব্যাংক মোহনপুর শাখায় নিহত মেরাজুলের স্ত্রী, ছেলে ও ভাইয়ের নামে পাঁচ লাখ টাকার একটি এফডিআর করে দেন তিনি।
সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের বলি হয়েছে মেরাজুল ইসলাম। আমি আমার এলাকার প্রত্যেককে ভালবাসি। দলবল নির্বিশেষে সবার সেবা করতে চাই। দোয়া করি আল্লাহ মেরাজুলকে বেহেস্তবাসী করুন।
তিনি আরো বলেন, ‘নিহত মেরাজুলের ছেলেকে লেখাপড়া করতে হবে। ছেলে সেফাতের লেখাপাড়াসহ পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছি। আমি সব সময় তাদের পাশে আছি।