যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার ১০ দিনের মাথায় বুধবার দেশের ক্রীড়া ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন ও সংস্থারগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় বসেছিলেন জাহিদ আহসান রাসেল। ৩ ঘণ্টাব্যাপী মতবিনিময় সভায় ফেডারেশনগুলোর কর্মকর্তারা তাদের অভাব অনটন, পাওয়া না পাওয়া ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন তাদের নতুন অভিভাবকের সামনে।
ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ ব্যক্তির সামনে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পেয়ে অনেকে তাদের সাফল্যের গুণগানও গেয়েছেন। কিন্তু ফেরার পথে অনেকের হাসিমুখ মলিন হয়েছে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সমাপনী বক্তব্যে।
জাহিদ আহসান রাসেল ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নতুন হলেও ক্রীড়াঙ্গনে পুরনো মুখ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বিগত দুই সরকারের আমলে তিনি পালন করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব। ক্রীড়াঙ্গনের অনেক কিছুই তার নখদর্পণে। তারপরও বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তিনি বসলেন খেলাধুলার প্রধান স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে। বক্তব্যে প্রায় সবাই ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
প্রশংসা যতই শুনুক, নিজের বক্তব্যে ফেডারেশন কর্মকর্তাদের সাবধান করতে ভুলেননি গাজীপুর-২ আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, যারা কাজ করবেন না ফেডারেশনে তাদের জায়গা হবে না। তাদের বিদায় নিতে হবে ফেডারেশনগুলো থেকে।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে ক্রীড়া ফেডারেশনের দায়িত্ব নেন; কিন্তু দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন না। অনেকেই ফেডারেশনে আসেন নিজেদের পরিচিতির জন্য। এ অভিযোগ অবশ্য সবার জন্য নয়। আমাদের অনেক ক্রীড়া সংগঠক আছেন যারা খেলাকে ভালোবেসেই পরিশ্রম করেন। আসলে খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা না থাকলে তাদের ফেডারেশনে না থাকাই ভালো।’
ক্রীড়াঙ্গনের খোঁজ-খবর তার কাছে আছে উল্লেখ করে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন,আমি ১০ বছর ধরে এ অঙ্গনে আছি। অনেক কিছু জানি। কারা কাজ করেন আর কারা করেন না, তা আমার অজানা নয়। ফেডারেশনে কেউ কেউ আছেন কাজ করেন, কেউ কেউ আছেন খবরও নেন না। আমার কাজ দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী আছেন। আর আপনাদের কাজ দেখার জন্য আছি আমি। আপনারা কাজ করুন। কাজের উপর নির্ভর করবে আগামীতে কে থাকবেন আর কে থাকবেন না।’