অনলাইন ডেস্ক:
নিজ বাড়িতে ৯ শতাধিক হাঁসের একটি খামার গড়ে তুলেছিলেন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চররুস্তুম গ্রামের জলিল গাজী। সন্তানের মতোই এসব হাঁসের দেখভাল করতেন তিনি।
প্রতিদিনের মতো গত বৃহস্পতিবার পার্শ্ববর্তী চরবেষ্টিন গ্রামের বিলে ওইসব হাঁস চরাতে নিয়ে যান জলিল। সেখানে ধান খাওয়ার পর হঠাৎই একের পর এক হাঁস মারা যেতে থাকে।
আতঙ্কে জলিল গাজী হাঁসগুলো নিয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বাড়ি ফিরে এলে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ২০০ হাঁস মারা যায়। এখনও অনেক হাঁস অসুস্থ রয়েছে।
দুর্বৃত্তদের বিষ মেশানো ধান খেয়ে হাঁসগুলো মারা গেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জলিল গাজী।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিরীহ প্রাণীর সঙ্গে এমন শত্রুতায় হতবাক এলাকাবাসী।
আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জানিয়ে খামারি জলিল গাজী অভিযোগ করেন, ‘চরবেষ্টিন গ্রামের হানিফ হাওলাদার শত্রুতা করে এ ঘৃণ্য কাজ করেছে।
জলিল জানান, ‘এক সপ্তাহ আগে ওই এলাকায় তার হাঁস নিতে নিষেধ করেন হানিফ।
হানিফের নিষেধ না শুনে সেখানে বৃহস্পতিবার সকালে ছেলে হাঁস চরাতে নিয়ে গেলে তার ছেলেকে হানিফ মারধর করে বলে জানান তিনি।
এর পর বিকালে হাঁস চরাতে গেলে আগেই হানিফ ধানে বিষ মিশিয়ে রেখেছিল বলে অভিযোগ করেন জলিল।
কী কারণে হানিফের সঙ্গে এই বিরোধ জানতে চাইলে জলিল বলেন, ‘ওই এলাকায় ভোলা থেকে আনা এক খামারিকে দিয়ে হাঁস পালবেন বলে জানিয়েছিল হানিফ।
জলিলের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হানিফ হাওলাদার বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। শুনেছি সন্ধ্যার আগে দূরে গিয়ে তার অনেক হাঁস মারা গেছে।
শুক্রবার দুপুরে বিষক্রিয়ায় মৃত কয়েকটি হাঁস ময়নাতদন্তের জন্য গলাচিপায় পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।