সুবর্ণা মোস্তফা রাজনীতি বলতে বোঝেন, মানুষের মঙ্গল করাকে। সংসদ সদস্য হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গণ থেকে এর আগেও রাজনীতিতে এসে অনেকেই ভালো করেছেন। তিনিও মানুষের পাশে থাকবেন। তাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা পালন করবেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত নারী আসনে সাংস্কৃতিক অঙ্গণ থেকে আওয়ামী লীগ বেছে নিয়েছে একমাত্র সুবর্ণা মোস্তফাকে। ৮০ দশক থেকেই বাংলা নাটকের অন্যতম জনপ্রিয় এই চরিত্র বুধবার শপথ নিয়েছেন সংসদ সদস্য হিসেবে।
সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের দিনই সুবর্ণা যাচ্ছেন সম্মানজনক একুশে পদক নিতে। আর এই পদক গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে তিনি জানান তার অনুভূতির কথা।
সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন। নতুন দায়িত্ব সম্পর্কে কী ভাবছেন?
রাজনীতি আসলে আমার জন্য নতুন একটা ক্ষেত্র। তবে রাজনীতির মূল যে উদ্দেশ্য সেটা নতুন নয়। আমি চেষ্টা করব, আমার জায়গা থেকে মানুষের পাশে থাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার। আর আমার এই কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষকেও পাশে পাব বলে বিশ্বাস রাখি।
অভিনয় করে তো আপনি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। রাজনীতিতে এসে কী করতে চান?
-আমি রাজনীতি বলতে যা বুঝি সেটা হচ্ছে মানুষের মঙ্গল। আশা রাখি আমাকে যে দায়িত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তা নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাব।
সাংস্কৃতিক কর্মীরা রাজনীতিতে এসেছে এবং জনগণের জন্য কাজ করেছে পৃথিবীতে এমন দৃষ্টান্ত প্রচুর আছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে শিল্পের দরকার আছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রাজনীতিতে এসেছেন এবং তারা নিষ্ঠার সাথে জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।
একই দিন আবার একুশে পদক নিচ্ছেন। নিশ্চয় খুবই গর্ব হচ্ছে…
একুশে পদকের মত রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাওয়া যে কোন শিল্পীর জন্য সৌভাগ্যের। আমিও নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।
এই অভিনেত্রীর পাশাপাশি কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী, কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২১ জন একুশে পদক পাচ্ছেন। আর তাদেরকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন সুবর্ণা মোস্তফা।