পুরনো ঢাকার চকবাজারের আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাওসার আহমেদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৪-১৫ বর্ষের শিক্ষার্থী। কাউসার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি চকবাজারে মদিনা মেডিকেল হল নামের একটি ক্লিনিক চালাতেন। গতকাল চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকাতে যখন আগুন লাগে, তখন কাওসার তার ক্লিনিকেই ছিলেন।
কাওসারের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়ে তার এক বন্ধু জানান, সেখানে কাওসার একটি ফার্মেসি ও ডেন্টালের দোকান ছিল। তার লাশ শনাক্ত করা গেছে। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। পরিবার লাশ নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
কাওসারের ভাই ইলিয়াস বলেন, কাওসারের জমজ সন্তানের নাম আব্দুল্লাহ ও মেহজাবীন। ছেলে-মেয়ে দুটি সকাল থেকেই কেঁদে চলছে। থামানো যাচ্ছে না কান্না। আর তার মা যাকে দেখছেন তাকেই বলছেন, আমার কাওসারকে এনে দাও, কাওসার চলে যেতে পারে না। আমাদের ছেড়ে আমার ছেলে চলে যেতে পারে। এই আমি বিশ্বাস করি না।
ইলিয়াস আরও বলেন, আগুন যখন লাগে, তখন ক্লিনিকের গেট বন্ধ ছিল, আর করেই বোধহয় ভেতরের সবাই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। ক্লিনিকের ভেতরে তার সঙ্গে আর মারা গেছেন, বাংলাদেশ ডেন্টাল কলেজের ১৯তম ব্যাচের শেষবর্ষের ছাত্র ইমতিয়াজ ইমরোজ রাসু ও মো. আশরাফুল হক।