মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে দুটি এল ক্ল্যাসিকো। তাও আবার ঘরের মাঠে। রিয়াল মাদ্রিদ খেলেছে নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। কিন্তু লজ্জাজনকভাবে দুটি এল ক্ল্যাসিকোতেই হারতে হয়েছে লজ ব্লাঙ্কোজদের।
এল ক্ল্যাসিকোয় না হয় প্রতিপক্ষ ছিল বার্সেলোনা। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের পুঁচকে ক্লাব আয়াক্সের কাছে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের, সেটা হয়তো কল্পনাও করতে পারেনি কেউ।
মঙ্গলবার রাতে নিজেদের মাঠেই আয়াক্সের কাছ থেকে চার গোল হজম করতে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৫ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বেশি সফল হওয়া দলকে।
আয়াক্সের কাছে এমন পরাজয়ের পর এখন বিশ্বজুড়ে মাতম চলছে মাদ্রিদিস্তাদের মধ্যে। সবাই খোঁজার চেষ্টা করছে, কেন এমন হলো? কি সমস্যা ছিল রিয়াল মাদ্রিদের? ঘরের মাঠে বার্সার মত দলের কাছে না হয় হার মেনে নেয়া যায়, কিন্তু টানা তিনটি হার, যার মধ্যে আয়াক্সের মত দলের কাছেও ৪ গোল হজম করতে হয়! রীতিমত অবিশ্বাস্য।
মাদ্রিদ সমর্থকরা যখন এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন, তখন বিশ্বখ্যাত সাবেক দুই ফুটবলার হল্যান্ডের রুদ খুলিত এবং ফ্রান্সের মার্সেল দেশাই দিয়েছেন এর দারুণ উত্তর। তাদের দু’জনের চোখেই, রিয়াল মাদ্রিদের এমন করুণ দশার একমাত্র কারণ, রোনালদোর না থাকা।
বেইন স্পোটর্সে রিয়াল মাদ্রিদের পরাজয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এক আলোচনায় অংশ নেন দু’জন। সেখানেই তাদের দু’জনের আলোচনায় উঠে এসেছে, কোচ জিদান এবং ফুটবলার রোনালদোর অনুপস্থিতিই রিয়াল মাদ্রিদের এতন শোচনীয় অবস্থার সবচেয়ে বড় কারণ।
রুদ খুলিত এবং মার্সেল দেশাই বলেন, ‘যখন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে বেচে দেয়া হচ্ছে, জানতে পেরে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দারুণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন জিনেদিন জিদান। সোলারির (রিয়ালের বর্তমান কোচ) হাতে কি একজন ক্রিশ্চিয়ানো রয়েছে? না, নেই।’
সাবেক এই দুই তারকা ফুটবলারের মতে, রোনালদো তো অন্তত মৌসুমে ৫০টি গোল করতেন। সেখান থেকেই তো অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে রিয়াল। তারা বলেন, ‘জিদানের হাতে এমন একজন ছিলেন, যে কি না আপনাকে মৌসুম শেষে ৫০টি গোলের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এটা ছিল রোনালদো। এখন রোনালদো নেই, সেই ৫০ গোলও নেই।’
এরপর তারা দু’জন বলেন, ‘৫০ গোল? আসুন, দেখে নেয়া যাক- রিয়াল মাদ্রিদ এখন এই ৫০ গোল পেছনে। যে কি না সব সময়ই দলটাকে একটা জেলখানা থেকে বের করে আনতেন। যখন জিনেদিন জিদানের কোনো পরিকল্পনাই কাজে লাগতো না, তখন স্কোর করে জিদান পার্থক্য তৈরি করে দিতেন। এটা সবসময়ই করতেন কেবলমাত্র রোনালদো! রোনালদো! রোনালদো! এমনটি সেটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও।