বে-আইনীভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় শোকজ এর আদেশ দিয়েছে আদালত। ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার বরিশালের সিনিয়র সহকারী জজ হাদিউজ্জামান বিচারাধীন সদর আদালত এ আদেশ দেন।
গত ১৯ নভেম্বর বরিশাল সদর উপজেলার মহম্মদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য প্রার্থী পারভিন বেগম মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সম্পাদক, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আলহাজ্ব মহম্মদ আলী হাওলাদার, দাতা সদস্য এ কে এম মনজুরুল ইসলাম শাহীন, অভিভাবক সদস্য আফজাল সরদার, খোকন সরদার, রাজিব খান, শহীদ মোঃ হোসাইন, মহিলা অভিভাবক সদস্য মোসাঃ মুন্নি, বিদ্যোৎসাহী সদস্য কবির মেম্বার, শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য আমির হোসেন, নুরুল ইসলাম, বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক, বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, বিদ্যালয় পরিদর্শক, বরিশাল জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বিবাদী করা হয়। বাদী মামলার আরজীতে আদালতে বলেন, তিনি বিদ্যালয়টিতে ম্যানেজিং কমিটি গঠনে গত ৩১ মে ঘোষিত তফসিল অনুসারে অভিভাবক সদস্য পদে প্রার্থী হন।
১৫ জুন নির্বাচন কমিশনার পারভিন সহ অন্যান্য সদস্যদের নাম বৈধ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। পারভিন মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলেও তাকে বাদ দিয়ে বিবাদীরা অজ্ঞাত কারনে নির্বাচন ছাড়াই বে আইনীভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি ২৫ আগস্ট মাত্র অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন কবির মেম্বারকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য করে ২৬ অক্টোবর অনুমোদন চেয়ে শিক্ষা বোর্ডে পাঠায়। এব্যাপারে শিক্ষাবোর্ড এ অভিযোগ দায়ের করেও ফল পাওয়া যায়নি। গত ৯ নভেম্বর সভাপতি সম্পাদক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন। বাদী প্রতিবাদ করলে গত ১৬ নভেম্বর স্থানীয় বিবাদীরা তাকে তাদের বে আইনী কর্মকান্ড চালানোর জোড় হুমকি দেয়। তিনি বিবাদীদের বে আইনী কর্মকান্ডে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দাবী করে মামলা দায়ের করলে আদালত কেন বিবাদীদের কর্মকান্ডে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবেনা আগামী ২১ দিনের মধ্যে তার কারণ দর্শাতে সকল বিবাদীকে আদেশ দেয়া হয় বলে আদালত সূত্র জানায়।