চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদের সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের ৬ থেকে ১১ তলায় গড়ে তোলা হচ্ছে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক।
সোমবার সকালে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন ও জেলা পর্যায়ে আইটি/হাইটেক পার্ক স্থাপন (১২ জেলা) প্রকল্পে জমি প্রদানকারী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সঙ্গে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠিত হয়।
চসিকের কেবি আবদুছ সাত্তার মিলনায়তনে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, পার্কের উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক এএসএম সফিকুল ইসলাম, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা প্রমুখ। এরপর বিকালে নগরের আগ্রাবাদ সিঙ্গাপুর মার্কেটে পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ শুরু করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন ‘কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের’ উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে নির্মাণাধীন এ পার্কে ২ হাজার ৫০০ জনের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ২৪ কোটি ৩৮ লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে এ পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই চসিক-হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়।
স্মারক অনুষ্ঠানে ডাক টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশ। বিশ্বে শিল্প বিপ্লব, বিদ্যুৎ বিপ্লব ও ইন্টারনেট বিপ্লব ঘটেছে। দেশে সঠিকভাবে নগরায়ণ ও শিল্পবিপ্লব হয়নি। কিন্তু এদেশে চতুর্থ বিপ্লব হবে হাইটেক পার্ক বিপ্লব। তাই ডিজিটাল যুগে চট্টগ্রামে হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম শিল্পনগর হিসেবে পরিচিত। মিরসরাইয়ে ইকোনমিক জোন হচ্ছে। আগামী ৫ বছরে সব কারখানায় ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগাতে হবে। দেশে এমন কোনো ইউনিয়ন থাকবে না যেখানে হাইস্পিড ইন্টারনেট থাকবে না। ইন্টারনেট একটি অবকাঠামো।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরনগর, বাণিজ্যিক রাজধানী। বন্দরনগর চট্টগ্রাম কয়েক বছরে প্রযুক্তিনগরে পরিণত হবে। শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর জ্ঞানভিত্তিক কর্মসংস্থান হবে। গত ১০ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। ১০ বছর আগে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ৫৬ লাখ, এখন ১০ কোটি। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব হয়েছে ৯ হাজার। আরও হবে ২৫ হাজার ৫০০টি।