28 C
Dhaka
নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অন্যান্য আন্তর্জাতিক জাতীয় প্রচ্ছদ প্রশাসন

ঢাকা-নেপিডো সমঝোতা সই ,দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু

বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি সমঝোতা সই করেছে মিয়ানমার। ‘রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের ফেরার ব্যবস্থা’ শীর্ষক এই সমঝোতার বিষয়ে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, দুই মাসের মধ্যে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত লোকজনের ফিরে যাওয়া শুরু হবে।

প্রত্যাবাসনের জন্য ভৌত ব্যবস্থাবিষয়ক একটি সুনির্দিষ্ট দ্বিপক্ষীয় দলিল দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, মূলত আন্তর্জাতিক চাপ কমানোর চেষ্টার অংশ হিসেবেই মিয়ানমার এই সমঝোতা সই করেছে।

যদিও মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তর এই সমঝোতাকে উভয় দেশের জন্য জয় হিসেবে উল্লেখ করেছে। ওই দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এবার ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থার ভিত্তি হবে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সই করা যৌথ বিবৃতি। সেখানে রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের ধারাবাহিকভাবে পরিচয় যাচাই ও মিয়ানমারের গ্রহণ করার বিষয়ে সাধারণ নীতি ও নির্দেশিকা রয়েছে।

নেপিডোতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে গতকাল সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর বৈঠকের পর দুই দেশ ওই সমঝোতায় সই করে।

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে মিয়ানমার ১৯৯২ সালের যৌথ বিবৃতির আলোকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব দিলেও বাংলাদেশ এর বিরোধিতা করে বলেছিল, ১৯৯২ সালের চেয়ে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। তাই রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন সমঝোতা প্রয়োজন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীও এ বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের অবহিত করেছিলেন।

বাংলাদেশের মূল যুক্তি ছিল, ১৯৯২ সালের যৌথ বিবৃতিতে যেভাবে রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাই করার কথা বলা হয়েছিল সেটি এবার করা হলে এ দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগের মিয়ানমারের বাসিন্দা হিসেবে প্রমাণ করা কঠিন হতে পারে। কেননা রাখাইন রাজ্যে এবার তাদের বাড়িঘর এমনভাবে পোড়ানো হয়েছে যে সেখানে তাদের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমঝোতার বিষয়ে যতটুকু জানা গেছে তাতে যে খুব নতুন কিছু আছে এমন নয়। কেবল একটি বিষয় নতুন রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী নেপিডোতে সাংবাদিকদের বলেছেন এবং পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম আগামী দুই মাসের মধ্যে শুরু করা হবে। এটি কবে নাগাদ শেষ হবে সেটি বলা হয়নি। এর আগে মিয়ানমার বলেছিল, তারা যাচাই-বাছাই করেই রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে। মিয়ানমার গতকাল যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সেখানেও তা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

রোহিঙ্গারা কিভাবে যাবে, তাদের যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া কী হবে—এসব বিষয় নির্ধারণ করবে দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ। মিয়ানমারের একজন কর্মকর্তা একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, কিভাবে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে তার একটি নমুনা ফরম বা তালিকা তারা বাংলাদেশকে দিয়েছেন। বাংলাদেশ যদি তাতে রাজি হয় তবে সেটির ভিত্তিতেই কাজ করা হবে।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার তার পুরনো অবস্থান থেকে সরে আসেনি। মিয়ানমার বলছে, যারাই মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় তাদের নাগরিক প্রমাণ দিতে হবে। সেই প্রমাণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য যা কিছু করা দরকার মিয়ানমার করবে।

বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা হলো, মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অতীতে তেমন একটা ফল আসেনি। ২০০৫ সাল থেকে মিয়ানমার একতরফাভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বন্ধ রেখেছে। দ্বিপক্ষীয় বিষয় হলে মিয়ানমার নানা টালবাহানা করে বিষয়টি পিছিয়ে দেয়। কিন্তু গতকাল বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বিজ্ঞপ্তি থেকে বোঝা যাচ্ছে এখানে কোনো বহুপক্ষীয় উদ্যোগ হচ্ছে না। এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বিষয় হিসেবেই থাকছে। মিয়ানমার তার বিজ্ঞপ্তিতে রোহিঙ্গা সংকটের আন্তর্জাতিকীকরণের বিরোধিতা করেছে।

বিবিসি বাংলা জানায়, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে গতকাল সমঝোতা সইয়ের পেছনে আন্তর্জাতিক চাপ বা সমঝোতা কাজ করেছে। মিয়ানমারে সরকারি মহলে জানাশোনা আছে—এমন কয়েকজন সাংবাদিক বলেছেন, সম্প্রতি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরের পর মিয়ানমারে গেছেন। গতকাল বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে তাতে চীন ভূমিকা রেখেছে।

বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুকে যেভাবে আন্তর্জাতিকীকরণ করেছে বা করতে চেয়েছিল মিয়ানমার তা পছন্দ করছে না। বিবৃতিতে তারা বলেছে, বিষয়টি দ্বিপক্ষীয়ভাবেই সমাধান করতে হবে।

তবে অন্য আন্তর্জাতিক চাপগুলোও এখানে কাজ করেছে বলে ধরে নেওয়া যায়। যেমন—গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের কথা বিবেচনার কথা বলেছেন। সেই প্রেক্ষাপটে খুব তড়িঘড়ি করেই মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বার্তা দিতে চাচ্ছে যে তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে, যাতে তাদের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ কিছুটা হলেও লাঘব হয়।

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ইসলামী সহযোগিতা সংস্থাসহ (ওআইসি) পশ্চিমা দেশগুলো জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ ও সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব গ্রহণ করে বিষয়টিকে (রোহিঙ্গা সংকট) আন্তর্জাতিক ইস্যু হিসেবে দেখিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদও এ ইস্যুতে একটি প্রেসিডেনশিয়াল বিবৃতি ইস্যু করেছে। ’

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারের নীতিগত অবস্থান হলো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে উদ্ভূত ইস্যুগুলো অবশ্যই দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে সমাধান করতে হবে। বন্ধুত্ব ও ভালো প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের ভিত্তিতে উভয় দেশের সম্মত এ ব্যবস্থায় (সমঝোতা) মিয়ানমারের দৃঢ় অবস্থানের প্রতিফলন এবং উভয় দেশের জন্য লাভজনক পরিস্থিতি এনে দিয়েছে। ’

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, প্রত্যাবাসনবিষয়ক সমঝোতা হলেও রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া নির্ভর করছে পুরোপুরি তাদের ইচ্ছার ওপর। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চায় না রোহিঙ্গাদের জোর করে ফেরত পাঠানো হোক। বাংলাদেশের এমন পরিকল্পনা নেই। বাংলাদেশ চায়, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন। এর জন্য মিয়ানমার সরকারকেই রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে। আর এটি রাতারাতি বা দুই মাসে সম্ভব নয়।

বাংলাদেশি এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নেপিডো থেকে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, গত বুধবার নেপিডোয় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে সমঝোতায় একটি সময়সীমা রাখার কথা মিয়ানমারকে বলেছিল। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাইয়ে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও সম্পৃক্ত করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ।

জ্যেষ্ঠ এক কূটনীতিক বলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ করেনি। মিয়ানমার দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা বললেও শেষ করার সময়সীমা দেয়নি। বাংলাদেশ এক বছরের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শেষ করতে চেয়েছিল। কিন্তু মিয়ানমার কোনো সময়সীমা না দিয়ে বিষয়টি উন্মুক্ত রেখেছে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা বিষয়ে মিয়ানমার আগের চেয়ে নমনীয় হলেও এ বিষয়টি সমঝোতা দলিলে উল্লেখ করতে রাজি হয়নি।

বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী এবং মিয়ানমারের পক্ষে স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তরের মন্ত্রী কিয়াও তিন সুয়ে ওই সমঝোতায় সই করেন। এ সময় তাঁরা ১৯৯৮ সালে দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া সীমান্ত চুক্তি অনুস্বাক্ষর দলিল বিনিময় করেন। তাঁরা ২০০৭ সালে সম্মত ‘নাফ নদীতে সীমান্ত নির্ধারণী অতিরিক্ত প্রটোকল’ও সই করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী নেপিডোতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বহুল প্রত্যাশিত ঐকমত্যে পৌঁছার পর তাঁরা সমঝোতা সই করেছেন। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে। সমঝোতা সই করা প্রথম ধাপ। এখন আমরা দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু করব। ’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল সকালে নেপিডোয় মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ইউন মিয়াত আয়ের সঙ্গে দেখা করে রাখাইন রাজ্যের জন্য উপহার হিসেবে তিনটি অ্যাম্বুল্যাসও দিয়েছেন।

গতকাল বিকেলে ঢাকায় একটি সম্মেলন শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রথম ধাপ। এটি গুরুত্বপূর্ণ। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার ঢাকায় এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন।

জানা গেছে, দুই দেশের মধ্যে সমঝোতার খসড়া ছয় দফা চালাচালির পর গত বুধবার বৈঠকে তা চূড়ান্ত হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহিদুল হক, মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম সুফিউর রহমানসহ এ দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা কার্যালয়গুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সমঝোতা সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেন, ‘যতটুকু খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে বাংলাদেশের আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই। মিয়ানমার বারবার কালক্ষেপণ করেছে এবং তাদের লোকদের ফিরিয়ে নেওয়ার যে দায় রয়েছে তা অস্বীকার করার চেষ্টা করেছে। সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা না থাকাকে তিনি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেন। আমরা যদ্দূর জানি, বাংলাদেশ এক বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে চেয়েছিল। সেটি অর্জিত হয়নি। ’

পরিচয় যাচাই ও প্রত্যাবাসনের পর তৃতীয় কোনো পক্ষের সম্পৃক্ততার বিষয়টি আরো উদ্বেগের উল্লেখ করে সি আর আবরার বলেন, রোহিঙ্গারা কতটা স্বেচ্ছায়, মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে ফিরে যেতে পারবে তার কোনো ইঙ্গিত এখানে নেই।

এদিকে রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব নিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সচেতন করা অব্যাহত রেখেছে। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী গতকাল নয়াদিল্লিভিত্তিক বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া, মধ্য পূর্ব ও পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর ৭৭ জন রাষ্ট্রদূতকে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি অবহিত করেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ও মানবাধিকার পরিষদে আগামী মাসেই রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ মিয়ানমারকে এ সংকট সমাধানে বাধ্য করতে বৈশ্বিক সমর্থন প্রত্যাশা করছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

কুরআনের আয়াত পোস্টের সঙ্গে ২ ছবি শেয়ার, কী বার্তা দিলেন আসিফ নজরুল

banglarmukh official

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্মান জানানোয় গোটা জাতি আনন্দিত

banglarmukh official

অবরুদ্ধ পেট্রোবাংলা, ভেতরে আটকা শত শত কর্মকর্তা

banglarmukh official

গরুর মাংসের দাম এখনও নাগালের বাইরে: ফরিদা আখতার

banglarmukh official

কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি অবৈধ: হাইকোর্ট

banglarmukh official

শহিদি মিছিলে যুক্ত হলেন আরও এক শিক্ষার্থী

banglarmukh official