রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে নিহতদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। ইতোমধ্যে ভবন থেকে উদ্ধার করা শতাধিক ব্যক্তিকে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলেও এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে নিহতদের মধ্যে একজন ট্রাভেল এজেন্সিতে কর্মরত মাকসুদুর রহমান (৩৫)। স্বামীর নিহতের সংবাদ জানা গেলেও একই ভবনে থাকা তার স্ত্রী রুমকির (২৮) কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, ভবনটিতে আগুন লাগার পর বাঁচার জন্য ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন মাকসুদুর। কিন্তু বাঁচতে পারেননি। ওই ভবনে একই অফিসে চাকরি করা তার স্ত্রী রুমকি বেঁচে আছেন কিনা সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।
মাকসুদুরের খালতো ভাই ইমতিয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, তারা পুরান ঢাকার বাসিন্দা। পরিবারের একমাত্র ছেলে মাকসুদুর। বাবা মারা গেছেন ছোট বেলায়। স্বামী-স্ত্রী একই অফিসে চাকরি করতেন। সম্প্রতি মাকে নিয়ে নতুন কেনা ফ্ল্যাটে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু এখন সবই শেষ!
এদিকে টাওয়ারের ভেতরে অসংখ্য লোকজন আটকে পড়ে আছেন। উদ্ধারে কাজ করছেন বিমান-নৌ বাহিনীর সদস্যরাও। ব্যবহৃত হচ্ছে হেলিকপ্টার। এছাড়া আহতদের মধ্যে ৩৫ জনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।