ডিএনডির সংস্কার কাজ ৫শ’ ৫৮ কোটি টাকার প্রকল্প হলেও যত টাকা প্রয়োজন, তা প্রধানমন্ত্রী বরাদ্দ দিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রী খোদ এ বিষয়টা নিয়ে বেশ আন্তরিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, টাকার কোন সমস্যা এখানে নেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী চান এ প্রকল্পটি দ্রুত হোক এবং ডিএনডিবাসী জলাবদ্ধতা থেকে দ্রুত মুক্তি পাক। মন্ত্রীর এ ঘোষণার পর উপস্থিত জনতা উৎফুল্লা হয়ে পড়ে। মন্ত্রীর এ বক্তব্যকে করতালী দিয়ে স্বাগত জানায় উপস্থিত ডিএনডিবাসী।
শুক্রবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জে ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ডিএনডি এলাকার নিস্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান, ঢাকা-৪ আসনের এমপি সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সানজিদা খানম।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান এসময় বলেন, ডিএনডির সংস্কার কাজ করার সময় এবং ২০ লাখ লোককে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে প্রয়োজনে প্রভাবশালী অবৈধ দখলদারদের স্থাপনাও ভেঙ্গে দেয়া হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সর্বোাচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ডিএনডি প্রকল্প বাস্তবায়নের তাগাদা দিয়েছেন। এজন্য সকলের কাছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, এ প্রজেক্ট সম্পন্ন করার জন্য যত টাকার প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী দিবেন বলে পানি সম্পদ মন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন। এতে করে নারায়ণগঞ্জ ঢাকার চাইতেও আধুনিক একটি শহরে পরিণত হবে।
ফলে নতুন প্রজন্মের জন্য আমরা একটা সুন্দর নারায়ণগঞ্জ রেখে যেতে পারব। দুই বছরের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, সাংবাদিকদের নিউজের কারণে এ ফান্ড আনতে আমার অনেক সুবিধা হয়েছে।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ডিএনডি’র প্রজেক্ট করা হয়েছিল সেচ কাজের জন্য। এখানে চাষবাদ করা হবে সে লক্ষ্যেই প্রকল্প গড়ে তোলা হয়। কালের বিবর্তনে এখানে পরিবর্তন এসেছে। এখানে অনেক স্থাপনা, গার্মেন্ট কারখানা, কল কারখানা গড়ে উঠেছে। তখন অনেকের উপলব্ধি হয় নাই যে এটা এক সময়ের চাষের উপযোগি থাকবে না। এখন এখানে প্রচুর মানুষ বসবাস করে। কিন্তু বর্ষার সময়ে এলাকাটি পানির নিচে থাকে। সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন এ সমস্যা সমাধানের। এখানে এমপি শামীম ওসমানের বিরাট অবদান।
মন্ত্রী তিনি বলেন, এ কাজে দুটি করপোরেশন জড়িত। একটি ঢাকার সিটি করপোরেশন ও নারায়ণগঞ্জ করপোরেশন। এছাড়াও একটি বড় অংশের কাজ আছে এলজিইডির। কারণ ড্রেন ও সুয়ারেজের পানির জন্য সিটি করপোরেশন ও এলজিইডি কাজ করবে। ইতোমধ্যে আমি নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশনের মেয়র, ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গেও কথা হয়েছে। দুইজনই আমাকে কথা দিয়েছে সমান্তরালভাবে কাজ চলবে। শামীম ওসমানও নিশ্চিত করেছে, এলজিইডি তাদের কাজগুলোও দ্রুত করবে। ’
তিনি বলেন, ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ডিএনডি এলাকার নিস্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পটি ৫৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকার পানি নিস্কাশন ব্যবস্থায় একটি স্থায়ী সমাধান আনয়ন করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবি, ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড এর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার আনিস, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল মোঃ তৌহিদ হোসেন, ২০ ইসিবি’র প্রকল্প পরিচালক লেঃ কর্নেল মুহাম্মদ রোমিও নওরীন খান, নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম উদ্দিন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, নাসিক প্যানেল মেয়র মতিউর রহমান মতি, কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান, ইফতেখার আলম খোকনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ।