সদ্যপ্রয়াত মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি পশ্চিমাদের ইসলামবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
তিনি বলেন, মোহাম্মাদ মুরসি অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। তাকে অনৈতিকভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। মূলত এই অবিসংবাদিত মুসলিম নেতা পশ্চিমা ইসলামবিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন।
মিসরের প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ড. হাফেজ মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে গণমাধ্যমে প্রেরিত শোকবার্তায় চরমোনাই পীর এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে চরমোনাই পীর বলেন, মোহাম্মাদ মুরসি একজন হাফেজে কোরআন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, খোদাভীরু একজন প্রেসিডেন্টের ইন্তেকালে আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও ব্যথিত। মুরসির ইন্তেকালে বিশ্ববাসী একজন অবিসংবাদিত নেতাকে হারালো।
তিনি বলেন, অর্থের বিনিময়ে কাতারের কাছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারের যে অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছিল, তা ছিল একটি অজুহাত মাত্র। অন্যায় অবিচার,জুলুম আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সদা তিনি সোচ্চার ছিলেন বলেই তাকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিলো।
মুফতি রেজাউল করীম আরও বলেন, মিসরের সর্বস্তরের জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত মুহাম্মদ মুরসি একজন প্রেসিডেন্ট হওয়া সত্বেও সাদাসিদে জীবন যাপন করতেন, উচ্চ বিলাসিতা পরিহার করে পরিবার পরিজনসহ রাজধানী কায়রোতে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। কারা প্রকোষ্ঠে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন এবং মাজলুম অবস্থায় কারাগারেই তিনি বিনা চিকিৎসায় মারা যান।
চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম মুরসির শোকাহত পরিবার ও মুসলিম ব্রাদারহুড নেতাকর্মীর প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন