অনলাইন ডেস্ক:
অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২৭ মে সদ্য বিদায়ী উপাচার্যের ৪ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর উপাচার্য শূন্য হয়ে পড়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, উপচার্য না থাকায় বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা ও ফলাফল আটকে আছে। এতে আগে থেকেই সেশন জটে জর্জরিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আরও বাড়বে সেশন জট। প্রায় দুই বছর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সেশন জট রয়েছে বিভিন্ন বিভাগে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডও স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আটকে আছে। স্থগিত হয়ে আছে শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার।
জুন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট দেয়ার কথা থাকলেও উপাচার্য না থাকায় সেই বাজেটও দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ল্যাবের ব্যবহারিক উপকরণ কিনতে না পারায় এবং উন্নয়ন খাতের বরাদ্দ খরচ করতে না পারায় ফেরত যাচ্ছে বিদায়ী অর্থ বছরের টাকাও।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, ভূতত্ত্ব ও খনি বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর মিয়া বলেন, সেশন জট কমানোর একটা সুযোগ ছিল; কিন্তু উপাচার্য শূন্যতায় এখন আর সুযোগ নেই। রেজাল্টও আটকে আছে। সব মিলিয়ে স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে। উপাচার্য শূন্যতায় বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট আটকে গেছে। শিক্ষক-কর্মকর্তারা বেতন তুলতে পারছে না। শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলারও স্থগিত হয়ে আছে। খুব শীঘ্রই উপাচার্য নিয়োগ না হলে বিশ্ববিদ্যালয় অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
মাটি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী তানভির আহমেদ বলেন, আমরা প্রায় ২ বছরের সেশন জটে আছি। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে অনার্স শেষ হওয়ার কথা; কিন্তু ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাস শেষ, এখনও পর্যন্ত অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষা হয়নি।
আগের ভিসি সেশন জট কমাতে তেমন উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমানে উপাচার্য না থাকায় পরীক্ষা আটকে আছে।
এভাবে চলতে থাকলে সেশন জট আরও তীব্র আকার ধারণ করবে।