পাবনা ঈশ্বরদীর ভেলুপাড়া গ্রামের মাসুদ রানার মেয়ে স্বর্ণা প্রতিবেশী আরজিনাকে সঙ্গে নিয়ে ঈশ্বরদী বাজারে যাওয়ার কথা বলে গত ২৫ জুন নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে এই বিষয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। নিখোঁজের ২৫ দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে স্কুলছাত্রী স্বর্ণা খাতুনকে (১৪)।
স্কুলছাত্রী স্বর্ণার বরাত দিয়ে অপহরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহিনুর রহমান জানান, অপহরণ নয়, নিজের অমতে পরিবার থেকে বিয়ের চাপ দেওয়ায় পালিয়েছিল স্বর্ণা।
বুধবার রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী থানায় সোপর্দ করে। স্বর্ণা পাবনা ঈশ্বরদীর ভেলুপাড়া গ্রামের মাসুদ রানার মেয়ে এবং টেক্সটাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
উদ্ধার কারার পর বৃহস্পতিবার স্বর্ণা ও আটক আরজিনাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত স্বর্ণাকে পিতার জিম্মায় এবং আরজিনাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এএসপি জামিল আহমেদ জানান, স্বর্ণার মোবাইল ফোন থাকায় সন্দেহভাজনদের কললিস্ট ধরে তাকে উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী পুলিশের এসআই শাহিনুর রহমান জানান, স্কুলছাত্রী স্বর্ণার অমতে পরিবার থেকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়া হয়। এদিকে স্বর্ণা চায় চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে। এই কারণে নিজের ভাইয়ের সাত হাজার টাকা চুরি করে প্রতিবেশী আরজিনাকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রথমে ঢাকার মোহাম্মাদপুরে আরজিনার রিকশা চালক ভাইয়ের বাসার একটি রুম ভাড়া নিয়ে থাকে। দু’জনে বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করারও চেষ্টা করে। পরে তারা সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় এক আত্মীয় বাসায় ওঠে। র্যাব সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করে।
শাহিনুর রহমান আরো জানান, এই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবার দায়ের করা অপহরণ মামলায় সুমি খাতুন ও আশিকুর রহমানকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আজ আরজিনাকেও জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।