লটকন বা নটকোনা (বৈজ্ঞানিক নাম Baccaurea motleyana) এক প্রকার টক মিষ্টি ফল। গাছটি দক্ষিণ এশিয়ায় বুনো গাছ হিসেবে জন্মালেও বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বাণিজ্যিক চাষ হয়।
বাংলাদেশে একসময় অপ্রচলিত ফলের তালিকায় ছিল লটকন। বর্তমানে বাণিজ্যিক আকারে উৎপাদন ব্যাপক আকারে হচ্ছে। উন্নত জাতের সুমিষ্ট লটকনের চাষ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর জনপ্রিয়তাও বেশ বেড়েছে। এদেশের নরসিংদীতেই লটকনের ফলন বেশি। এ ছাড়া সিলেট, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাজীপুর এসব জেলায়ও আজকাল বাণিজ্যিকভাবে লটকনের চাষ হচ্ছে।
জংলি ফল লটকনে রয়েছে বহু রকমের পুষ্টি উপাদান। এই ফলে পানি, প্রোটিন, আঁশ, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এব অন্যান্য খনিজ উপাদান রয়েছে। লটকনে আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় সহায়তা করে।
এছাড়া্ও লটকনের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ-
ক্যানসার প্রতিরোধে: লটকনে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান। নিয়মিত খাদ্যতালিতায় এই ফল রাখুন।
শরীরে আর্দ্রতা ঠিক রাখে: লটকরে প্রচুর পানি থাকে যা শরীরকে ডিহাইড্রেট হ্ওয়া থেকে রক্ষা করে। এছাড়া্ও তৃষ্ণা নিবারণের জন্য খেতে পারেন লটকন। এছাড়া্ও এখান থেকে আপনি ভালো নিউট্রিশনাল উপাদান পেতে পারেন।
হজমে সহায়ক: লটকনে প্রচুর আঁশ রয়েছে। যা হজমপ্রক্রিয়া ঠিকমতো কাজ করতে সাহায্য করে।
রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখে: লটকন খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে অতিরিক্ত সুগার নেই, তাই যতই খান না কেন শরীরে ব্লাড সুগার মাত্রা বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
চর্মরোগে প্রতিকার: শরীরের বিভিন্ন চর্মরোগে প্রতিকারে শক্তিশালী উপাদান হিসেবে বিবেচিত লটকন। এই ফল খোচপাচড়া, ক্যাবিস, দাদ প্রতিকারে বেশ কার্যকরী।
শরীরে শক্তি জোগানোর উৎস: লটকন ফল শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে। এতে পর্যাপ্ত ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন রয়েছে যা খা্ওয়ার পর পরই শরীরে বল পা্ওয়া যায়। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় লটকন রাখলে সারাদিন কর্মক্ষম থাকবেন।