বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর আমি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে শপথ নিয়েছি। এ সময় আমি বিসিসির প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করি।
বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘদিনের নগরের পুঞ্জিভূত সমস্যা সমাধানের কর্মপন্থা গ্রহণ করি। আমাদের যেসব পরিকল্পনা রয়েছে সেসব বাস্তবায়ন খুব একটা সহজসাধ্য নয়। প্রায় ছয় লাখ নাগরিকের অধ্যুষিত এ নগরে হাজারো সমস্যা রয়েছে। আমাদের সীমিত সামর্থ্য ও সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে দিন-রাত কাজ করে চলেছি।
তিনি বলেন, বরিশালকে রাতারাতি বদলে দেওয়ার দাবি আমাদের নেই। আমরা এগিয়ে যেতে চাই পরিকল্পিতভাবে এবং ক্রমান্বয়ে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এর অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে নিরন্তর প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে।
তিনি নয় মাসের অধিককাল সময়ে বর্তমান পরিষদের ৩৩টি অর্জনের কথা লিখিত আকারে তুলে ধরেন। যার মধ্যে পূর্বে থাকা ব্যাংকের ১১০টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে রাজস্ব আয় আদায়ের জন্য ৩৬টি অ্যাকাউন্ট, ব্যয়ের জন্য একটি মূল অ্যাকাউন্ট ও উন্নয়নের জন্য চারটি অ্যাকাউন্ট রাখা, সিটি করপোরেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও মজুরি স্ব স্ব ব্যাংক হিসেবে দেওয়া, প্রকৌশলী (সিভিল) শাখার কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, নগরভবনে ডিজিটাল হাজিরা চালু করা, নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও শৃঙ্খলা আনায়ন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষে ড্রেনের স্লাব অপসারণ, পাঁচ বছর মেয়াদি রাস্তা নির্মাণ, থ্রি-ডি জেব্রা ক্রসিং স্থাপন উল্লেখযোগ্য।
বাজেট ঘোষণার আগে মেয়রের লিখিত বক্তব্যে, ২০১৩-২০১৬ অর্থ বছরের ১৩৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অডিট আপত্তি, আর্থিক অনিয়মে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া, কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা বকেয়া রাখা, অসচ্ছভাবে যানবাহনের জ্বালানি ব্যবহার করা, হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাস্তবতার সঙ্গে অসঙ্গতি ও আদায়ের ক্ষেত্রে অসচ্ছতা রাখা, ট্রেড লাইসেন্স ফি নির্ধারণ ও আদায়ের ক্ষেত্রে অসচ্ছতাসহ পূর্বের পরিষদের ২৫ টি অনিয়মের কথা তুলে ধরেন
বাজেট ঘোষাণা শেষে মেয়র নাগরিকদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। এ সময় তিনি নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, বাজেটে বা আমার মেয়াদকালে কোনো হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়নি। পূর্বের পরিষদের ধার্য করা হোল্ডিং ট্যাক্সের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এছাড়াও মেয়র নাগরিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।