বীমা শিল্পের অনেক সম্ভাবনা থাকলেও যথাযথভাবে এর বিকাশ ঘটানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, ‘এটা নিশ্চিতভাবে বোঝা যায়, এতে অনেক সম্ভাবনা আছে, কিন্তু আমরা ট্রেপ করতে পারছি না। হয়তো প্রোপার অ্যাড্রেস (যথাযথভাবে চিহ্নিত বা উন্নয়ন) করতে পারছি না।
বুধবার (৩১ জুলাই) ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেটে বীমা শিল্পের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি সম্পর্কিত গোল টেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনায় বক্তারা জানান, চলতি বাজেটে বীমা শিল্পের প্রাপ্তির মধ্যে রয়েছে সরকারের পক্ষে সবার জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালুর আশ্বাস, স্বল্প পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে শস্য বীমা চালু, বীমা শিল্পের আধুনিকায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ, ক্ষুদ্র বীমা চালু, জীবন বীমা কর্পোরেশনের মাধ্যমে সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বীমার আওতায় নিয়ে আসা, এ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন এবং সার্ভেয়ার ফি কর হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা।
তবে বীমা সংশ্লিষ্টরা আলোচনায় বলেছেন, এগুলো যথেষ্ট নয়।
জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যাশা-প্রাপ্তি ভারসাম্যহীন হলে টিকবে না। আপনারা যদি বেশি আশা করেন, তাহলে মার্কেট তা বহন করতে পারবে না। আবার সরকার আপনাদের দিয়ে নিজে মরে গেলে সেটাও দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন হবে না। সুতরাং একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।’
‘আপনারা আপনাদের শিল্পের উন্নয়ন চান। আমরাও আমাদের আর্থিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন চাই। এ উন্নয়ন হলে দুপক্ষেরই লাভ। এতে কোনো সন্দেহ নেই’-যোগ করেন তিনি।
সবার জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালুর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, তা সাহসী বলেও মন্তব্য করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কৃষি বীমা, স্বাস্থ্য বীমা ও অন্য বীমার ক্ষেত্রে আমাদের সরকার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেলে এসব প্রগতিশীল কাজ করা যাবে।’