খুলনা প্রতিনিধি/জান্নাতুল ফেরদৌস:
আজ রোববার থেকে শুরু হচ্ছে খুলনার ময়ূর নদী ও সংলগ্ন ২৬টি খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান। বেলা ১১টায় খুলনার ময়ূর নদীর বুড়ো মৌলভীর দরগা এলাকা থেকে এই অভিযান শুরু হবে। জেলা প্রশাসন পরিচালিত এই উচ্ছেদ অভিযানে সব ধরনের সহযোগিতা করবে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। গত জুন মাসে নদী ও ২৬টি খাল দখল করে নির্মাণ করা ৩৮২টি স্থাপনার তালিকা চূড়ান্ত করে জেলা প্রশাসন। ৪৬০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এসব স্থাপনা এবং নদীর জমি দখল করে রেখেছেন বলে-জেলা প্রশাসন, কেসিসি, কেডিএ ও সেটেলমেন্ট অফিসের যৌথ জরিপে উঠে আসে। জেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে, নদী ও খাল দখলদারদের নিজ উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে গত ২৪ আগস্ট থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকেই নদীর সীমানার ভেতরে থাকা স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছেন। যারা এখনও অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেন রোববার থেকে সেগুলো ভাঙা শুরু হবে। স্থাপনা অপসারণ কাজে সহযোগিতা করতে কেসিসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর প্রধান বা প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কেসিসির বৈষয়িক কর্মকর্তা ও নদীর অবৈধ দখলদার চিহ্নিত করতে গঠিত কারিগরি কমিটির সদস্য সচিব মোঃ নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে কেসিসির দুটি স্কেভেটর, দুটি পে-লোডার, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং ৫০ জন উচ্ছেদ কর্মীকে প্রস্তুত করা হয়েছে। উচ্ছেদকর্মীদের কাছে ভবন ভাঙার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম থাকবে। তিনি জানান, ময়ূর নদীর বুড়ো মৌলভীর দরগা এলাকা থেকে এই অভিযান শুরু হবে। সেখান থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে করতে গল্লামারী মোড়ের দিকে আসবে। প্রথম দিন একটি টিমই উচ্ছেদ কাজে অংশ নেবে। পরবর্তীতে এই সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। নদী ও খাল উদ্ধার কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও কেসিসির মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, যে কোনো মূল্যে উচ্ছেদ অভিযান সফল করা হবে। এই অভিযান কেউ বন্ধ করতে পারবে না।