বরিশালের বানারীপাড়ায় সলিয়াবাকপুর গ্রামে সুমাইয়া আক্তার (১৮) নামের এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার ভোরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, গত আড়াই বছর পূর্বে উপজেলার সলিয়াবাকপুর গ্রামের পিন্টু হাওলাদারের ছেলে মাসুদ হাওলাদারের সঙ্গে চাখারের হাবিবুর রহমান মেকারের মেয়ে সুমাইয়ার প্রথমে প্রেম ও পরবর্তীতে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সুমাইয়াকে দুই ননদ সেলিনা ও সালমা ঠুনকো ছুঁতোয় মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করে আসছিলো। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুমাইয়ার নানা মোহাম্মদ আলীকে সুমাইয়ার শ্বশুর পিন্টু হাওলাদার মুঠোফোনে জানায় তার নাতনী কীটনাশক জাতীয় কিছু পান করেছে। খবর পেয়ে তিনি সুমাইয়ার শ্বশুর বাড়িতে রওয়ানা হলে পথিমধ্যে দেখতে পান ভ্যান গাড়িতে করে তার নাতনীকে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে সেখান থেকে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রেফার করা হলে চিকিৎসাধিন অবস্থায় বুধবার ভোর ৪টার দিকে সে মারা যায়।
সুমাইয়ার পরিবারের দাবী পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে তার শ্বশুর পরিবার।
বানারীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।