26 C
Dhaka
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
বিনোদন

যৌনদৃশ্যে অভিনয়ের সময় কেমন বোধ করেন নায়িকারা?

সিনেমায় নায়ক-নায়িকার ঘনিষ্ট দৃশ্যের প্রতি দর্শকের বাড়তি আগ্রহ থাকে। অনেক সিনেমাই আছে যেগুলো যৌনদৃশ্যের জন্য বিখ্যাত, সেইসঙ্গে সমালোচিতও। অনেক অভিনয়শিল্পীরা রয়েছেন যারা যৌনদৃশ্যের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত দর্শকের কাছে। একটু খোলামেলা দৃশ্যে পরিচালকরা সবার আগে তাদের কথাই ভাবেন।

অনেক দর্শকই ভাবেন- কেমন হয় যৌনদৃশ্যগুলোর শুটিং? এসব দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে নায়িকাদের অভিজ্ঞতাই বা কেমন? তারা কী সত্যি সত্যি কোনো অনুভূতি পান?

এই প্রসঙ্গে বছর দুয়েক আগে মুখ খুলেছিলেন বিদ্যা বালান, সোনম কাপুর, আনুশকা শর্মা, আলিয়া ভাটসহ বলিউডের বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী। বিদ্যা বালান তার অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন পরিণীতা ছবিতে সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে বিছানাদৃশ্যের শুটিং নিয়ে। ছবিটিতে তাদের ঘনিষ্ঠদৃশ্যটি বেশ বিখ্যাত।

ওই দৃশ্য নিয়ে বিদ্যা বলেন, ‘দৃশ্যটির শুটিং করতে গিয়ে নার্ভাস ছিলাম। প্রথমে সঞ্জয় দত্ত চোখ বুজে ছিলেন! আমি বলতে বাধ্য হলাম- দাদা, আপনি এ কী করছেন! তার পর যা হলো, তাতে আমাকেই চোখ বুজে ফেলতে হলো। শটটা শেষ হওয়ার পর খুব ভয়ে ভয়ে চোখ খুলেছিলাম! ক্যামেরায় ফুটেজটা দেখে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না আমি এতক্ষণ চোখ বুজে এসব করেছি! তবে দৃশ্যটি দর্শকের পছন্দ হয়েছিলো।’

সোনম কাপুর জানালেন, একবার তাকে ছবির স্বার্থে অভয় দেওলকে চুমু খেতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বেশ মজার ছিল তার। তিনি বলেন, ‘আমি চুমু খেতে গিয়ে থমকে গেলাম! কীরকম একটা চেনা চেনা খাবারের গন্ধ পাচ্ছিলাম! এটা বলতেই শুটিং স্পটের সবাই হাসিতে লুটিয়ে পড়েছিল। সবাই বুঝতে পেরেছিল আমি চিকেনের কথা বলছি।’

যৌনদৃশ্যে আলিয়া ভাটের অভিজ্ঞতা কেমন? হালের জনপ্রিয় এই নায়িকার ভাষ্য, ‘চুমু খেতে গেলে আমি বিপদে পড়ে যাই। আমার ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন বদলে যায়! আর এতে পরিচালক রেগে যান। বার বার চেঁচামেচি করতে থাকেন আমার এক্সপ্রেশন ঠিক করার জন্য!’

তবে যৌনদৃশ্যকে মোটেও কোনো উপভোগ্য বা মজার কাজ বলে মনে করেন না নেহা ধুপিয়া। তার মতে এটি খুবই পরিশ্রম ও ঝক্কির কাজ। তিনি একটি অনুষ্ঠানে এসে যৌনদৃশ্য নিয়ে বলেন, ‘একবার এক ছবিতে নায়কের সঙ্গে জলকেলির দৃশ্য শুট করতে গিয়ে টের পেয়েছিলাম এটা কত কঠিন। সবাই ভাবে এসব শুট করে আমরাও মজা পাই! কিন্তু ব্যাপারটা আসলে সেরকম কিছু নয়।

কনকনে ঠান্ডা পানিতে বারবার গা ডুবিয়ে শট দেয়া খুব একটা আরামদায়ক ব্যাপার নয়। তাছাড়া আছে পরিচালকের ক্রমাগত নির্দেশ- এভাবে নয়, ওভাবে ইত্যাদি! ফলে, এর মধ্যে মজার কোনো জায়গা নেই। উপভোগেরও কিছু নেই এখানে।’

রাধিকা আপ্তের অভিজ্ঞতা হলো, ‘একবার যৌনদৃশ্যে অভিনয় করার সময় আমার নায়ক কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারছিল না! তখন পরিচালক আমায় বললেন, রাধিকা ওকে একটু ফাঁকায় নিয়ে যাও! নিয়ে গিয়ে জড়তা কাটিয়ে আনো! এ কী রে বাবা। আমি কী করে ওর জড়তা কাটাবো। আমার প্রচুর হাসি পাচ্ছিলো। কিন্তু আমি আমার বয়ফ্রেন্ড চরিত্র করা অভিনেতাকে সহজ হতে সাহায্য করেছিলাম আমি।’

সম্পর্কিত পোস্ট

সুখবর দিলেন অভিনেত্রী মিথিলা

banglarmukh official

যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রে সফল উদ্যোক্তা বরিশালের মেয়ে রোজা

banglarmukh official

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনা, মেহজাবীনের আবেগঘন পোস্ট

banglarmukh official

পুষ্পা-২ দেখতে গিয়ে পদপিষ্ট শিশুর অবস্থার উন্নতি, পাশে দাঁড়িয়েছেন আল্লু অর্জুন

banglarmukh official

মিশর ভ্রমণ করে যে স্বপ্ন পূরণ হলো মেহজাবীনের

banglarmukh official

শাড়িতে ভক্তদের নজর কাড়লেন শবনম ফারিয়া

banglarmukh official