জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল পদত্যাগ করেছেন। গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এটি জানাজানি হয়।
দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবিব পদত্যাগপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে পদত্যাগের কারণ জানাননি।
আহসান হাবিব সাংবাদিকদের বলেন, ”গত মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র পেয়েছি। আমি পড়ে দেখিনি। সভাপতি-সেক্রেটারির কাছে হস্তান্তর করেছি। ধারণা করছি, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে হতে পারে। পদত্যাগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হলে প্রেস রিলিজ দিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।”
মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি চঞ্চলের সাথে। শাখা সভাপতি জুয়েল রানার দাবি, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। জুয়েল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না, কেন্দ্রও আমাকে কিছু জানায়নি।’
আগস্টের ২৮ তারিখ থেকেই ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছিলেন চঞ্চল। এরপর শাখা ছাত্রলীগের কোন কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায়নি। এর আগে, ২৩ আগস্ট গণমাধ্যমে খবর বের হয় ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম শাখা ছাত্রলীগকে ১ কোটি টাকা বণ্টন করে দিয়েছেন, যেখান থেকে চঞ্চল ২৫ লাখ টাকা ভাগে পেয়েছেন। গণমাধ্যমের কাছে তখন চঞ্চল এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে ছাত্রলীগে চঞ্চলের বিরোধী গ্রুপ গণমাধ্যমে দাবি করেন, টাকা পেয়ে কাউকে যেন ভাগ দিতে না হয় সেজন্য লাপাত্তা হয়ে গেছেন চঞ্চল।
২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর জুয়েল রানাকে সভাপতি ও আবু সুফিয়ান চঞ্চলকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য শাখা কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রায় দুই বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিতে চলছে জাবি ছাত্রলীগ। নেতৃত্ব পাওয়ার ৩ বছরেও হল কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি শাখা সভাপতি-সেক্রেটারি।