সদরঘাটে লঞ্চ-ট্রলার সংঘর্ষে মো. শহিদুল ইসলাম (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। শহিদুলের বাড়ি হাজারীবাগের ৪২ গণকটুলিতে। তিনি হোমস্ কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রিন্সিপাল ও মালিক ছিলেন।
নিহতের স্ত্রী আয়রিন বেগম বলেন, কয়েক দিন আগে তাদের এলাকার চান মসজিদ থেকে মিজানের নেতৃত্বে এক দল কাফেলায় বরিশাল চরমোনাই গিয়েছিলেন। সেখান থেকে আজ তার স্বামী ফিরছিলেন। ফোনে কয়েক বার কথা হয়েছে। সন্ধ্যায় ফোন দিলে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর অন্য একজন ফোন রিসিভ করে আমাকে খোলামোড়া ঘাটে আসতে বলে। পরে আমাদের লোকজন ঘাটের কাছ থেকে শহিদুলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। এরপর চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাত নয়টায় আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে উদ্ধারকারীরা ও ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি। তারা বলেন, খোলামোড়া ঘাটের সামনে শহিদুল পড়েছিল। লোকজন ভিড় করেছিল, সেখান থেকে আমরা নিয়ে আসি।
কামরাঙ্গীচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোস্তফা আনোয়ার বলেন, ‘ঘটনাস্থলটি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার মধ্যে। যতটুকু জানতে পেরেছি, শহিদুলসহ অনেকে মিলে বরিশালের চরমোনাই গিয়েছিলেন। সেখান থেকে সুন্দরবন লঞ্চযোগে সদরঘাট আসেন। সেখান থেকে কামরাঙ্গীচর খোলামোড়া ঘাটে আসার জন্য ট্রলারে উঠেছিল। সেসময় আরেকটি লঞ্চ পারাবত-১১, ওই ট্রলারের ওপর তুলে দেয়। এতে শহিদুলসহ কয়েকজন আহত হন। পরে তাদের খোলামোড়া ঘাটে নিয়ে আসা হয। সেখানে শহিদুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢামেকে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক শহিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. শাহ জামান বলেন, আমি ঘটনার সংবাদ পেয়েছি, সেখানে টিম পাঠানো হয়েছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
মৃতদেহটি ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।