দেশের দুই অন্যতম সেরা ওপেনার নাইম শেখ এবং লিটন দাস ইনিংস ওপেন করতে নামলেন। কিন্তু দলীয় ৬ রানের মাথায় দু’জনই ফিরে গেলেন সাজঘরে। নামের পাশে শোভা পাচ্ছিল দুটি বড় ‘শূন্য’। দলীয় ২৭ রানে তৃতীয় এবং ৫৫ ও ৬৭ রানে নেই যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেট।
ফিরে যান লিটন, নাইম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব এবং আফিফ হোসেনরা। এমন পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নেয়ার চিন্তা কোনো ভালোমানের অধিনায়ক করতেই পারেন না। মুশফিকুর রহীমও চিন্তা করেছিলেন, তিনি দেখে-শুনে, বুঝে তারপর খেলবেন।
যে কারণে, পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের দুই আনকোরা পেসার রনি হোসাইন এবং জয়নুল ইসলামের পেসের সামনে অসম এক সংগ্রামের পথ বেছে নেন মুশফিক। উইকেট বাঁচিয়ে খেলার সংগ্রাম করতে গিয়ে এমন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তিনি, যা রীতিমত অবিশ্বাস্য।
টুক টুক করতে গিয়ে মাঠে নামার পর প্রথম ২৩ বলে রানের খাতাই খুলতে পারেননি আবাহনীর অধিনায়ক। এরপর তিনি প্রথম ডাবল নিয়ে খোলেন রানের খাতা।
মাঠে নামার পর এতটা স্লো ব্যাটিং সর্বশেষ কবে করেছেন মুশফিক? নিজেই চিন্তা করে খুঁজে বের করতে পারেননি। বরং, এমন ব্যাটিং দেখে মুশফিক নিজেই খুব অবাক।
ম্যাচ শেষে মিরপুর শেরেবাংলায় মিডিয়ার সামনে কথা বলতে গিয়ে নিজেই সেই অবাক হওয়ার কথা জানালেন। মুশফিক বলেনম ‘২৪তম বলে প্রথম রান করেছি। শেষ কবে আমি এতটা স্লো স্টার্ট করেছি, সেটাই মনে করতে পারছি না। নিজের ব্যাটিং দেখে একটু অবাকই হয়েছি। তবে, আমি চেষ্টা করেছি দলের হয়ে অবদান রাখার জন্য। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছি, সেটাই আমার জন্য ভালো লাগার।’
পারফরমার হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন এবার- এটা এই বছর মুশফিকের চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শুরুতেই সফল। এটা তার জন্য খুব বড় ভালোলাগার। মুশফিক বলেন, ‘আমার জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ, যেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারি। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শুরুতেই আমি সফল। আর ক্লাব ক্রিকেট আমি সব সময়ই উপভোগ করি। এ কারণে ঘরোয়া ক্রিকেটাটটাও ভালোভাবে চালিয়ে যেতে চাই।’