দেশে করোনা পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র বুঝতে আরও বেশি টেস্টের ব্যবস্থা করা জরুরি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সেক্ষেত্রে পিসিআর পদ্ধতির পাশাপাশি বিকল্প মাধ্যম ব্যবহারের পরামর্শ তাদের। পরিস্থিতি বিবেচনায় হাসপাতাল আর আইসোলেশন ইউনিটগুলো প্রস্তুত রাখা জারুরি বলেও মনে দেন তারা।
দিন বাড়ছে আর ক্রমেই যেন ভয়ঙ্কর হচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রিপোর্টে সর্বোচ্চ ২ হাজার ১৯ টেস্টে শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা ৩৪১ জন। পরিসংখ্যান বলছে, মোট টেস্টের প্রায় পনেরো শতাংশই পজেটিভ।
সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে টেস্ট যত বাড়বে শনাক্তের সংখ্যাও কি তত বাড়বে?
বাংলাদেশ ফার্মাকোলজিকাল সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান খসরু বলেন, এ সংখ্যা হয়তো আর অঙ্কের মত বাড়বে না। তবে যত বেশি পরীক্ষা হবে ততবেশি রোগী শনাক্ত হবে। তত বেশি সমস্যা বোঝা যাবে।
এমন পরিস্থিতিতে বাস্তবতা বিবেচনায় দরকার আরও বেশি হাসপাতাল প্রস্তুতির আওতায় আনা। নজর রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দিকেও।
জাতিসংঘ বৈশ্বিক সমন্বয়ক এইচআইভি সেকশনের ড. মনিকা বেগ বলেন, কোভিড কেস বাড়ছে এখন হাসপাতালে ধীরে ধীরে অনেক রোগীকেই দেখব। এখন তাদের চিকিৎসা দিতে সব সরঞ্জাম এবং সবচেয়ে জরুরি দক্ষ জনবল সেটির খুবই দরকার।
দেশে বৃহস্পতিবার প্রথম মৃতের সংখ্যা দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছায়।