পাঁচ ইন্টার্ন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেশিরভাগ ইন্টার্ন চিকিৎসক এখন কোয়ারেন্টিনে। ফলে হাসপাতালে রোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
গত ১২ এপ্রিল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে প্রতিদিনই আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছেই। এদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে এ পর্যন্ত পাঁচজন ইন্টার্ন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসায় ২০৯ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকের বেশির ভাগই এখন কোয়ারেন্টাইনে। আর এ কারণে রোগী সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের (শেবাচিম) আন্তঃবিভাগ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. সুদীপ কুমার হালদার।
তিনি বলেন, পাঁচ চিকিৎসকের সংস্পর্শে আশার কারণে প্রায় ২০৯ ইন্টার্ন চিকিৎসক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এর মধ্যে কিছু অংশ জয়েন করেছে। এতে চিকিৎসার দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটেছে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, আমরা শুরু থেকে এন-৯৫ মাস্ক যে ধরনের পাওয়ার আশা ছিলো। সেটা কতগুলো পাবো? সেজন্য এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাঘাত ঘটেছে।
জেলা প্রশাসক বলছেন, স্বজনরা করোনার উপসর্গ গোপন করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা আক্রান্ত হয়েছেন।
বরিশালের জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান বলেন, ভুল তথ্য নিয়ে চিকিৎসা নিতে মেডিকেলের অনেক চিকিৎসক কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছে। এতে চিকিৎসা ব্যবস্থায় কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ ২২৪টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ৯৫ জন। রোবরার হাসপাতালে মোট রোগী ছিল ৩৮৬ জন। এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত ২৩ জন।