তানজিম হোসাইন রাকিবঃ
করোনা মোকাবেলায় কার্যত সারা দেশ লকডাউন হয়ে থাকায় সাধারণ মানুষ দিশেহারা। এ অবস্থায়ও বরিশালে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা রমজানকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছেন। খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির দায় পাইকারি ব্যবসায়ীদের উপর চাপলেও, পাইকারি ব্যবসায়ীরা দুষছেন সিন্ডিকেট ও পরিবহন সমস্যাকে।
বাজারে সকল নিত্যপন্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে দাবি করে অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
করোনার প্রভাবে এমনিতেই বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়তি। এর উপর পবিত্র মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে আরেক ধাপ বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
করোনা হানা দেয়ার আগে বরিশালের খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৪ টাকা কেজি করে। করোনা এবং সব শেষ রমজানকে কেন্দ্র করে দুই ধাপ বৃদ্ধির পর এখন বরিশালের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকায়। এছাড়া, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল ও চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের দামও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির দায় চাপাচ্ছে পাইকরী ব্যবসায়ীদের উপর। অপরদিকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির অজুহাত হিসেবে করোনার প্রভাব, পরিবহন সমস্যাসহ নানা সঙ্কটের কথা বলছেন।
নিত্য পণ্যের পাশাপাশি রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারে মাল্টা, আপেল, নাশপাতি, কমলাসহ বেড়েছে সব ধরনের ফলের দাম। এ জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন ফল ব্যবসায়ীরা।
বাজার স্বাভাবিক রাখতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার পাশাপাশি টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার কথাও জানিয়েছে তিনি।