বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রতিদিনই দেশে মরছে মানুষ, দিন যায় লাশের সারি দীর্ঘ হয়। করোনা আতঙ্কে ঘরবন্দি মানুষ। সেই অবস্থায় থেকেও লকডাইনে গৃহবন্দি মানুষের কথা ভুলে যাননি তিনি। নিজের জন্মস্থান গোপালগঞ্জ পৌরবাসীর সব শ্রেনীর মানুষের পাশে রয়েছেন তিনি । পৌরবাসী প্র্রতিবেশীরা ও যে কোন প্রয়োজনে পাশে পান তাকে । তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী, আবার অনেকের কাছে তিনি তাদের বিপদের দিনের পরম বন্ধু সমাজসেবক পলাশ।
ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও গরিব-অসহায় দুস্থদের মাঝে ঈদ উপহার নামে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ করছেন খুলনা সাউথ টেক লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক সমাজসেবক এবাদুল হক পলাশ ।
গোপালগঞ্জ পৌরসভার মিয়াপাড়া, বটতলা, পাওয়ার হাউজ মহল্লাসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে লকডাউনে গৃহ বন্দি ছিন্নমূল-অসহায় গরীবদের মাঝে বাড়িতে বাড়িতে এ গিয়ে ঈদ উপহার সামগ্রী ও নগত টাকা পৌঁছে দেন । উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, সেমাই, প্যাকেট দুধ, চিনি ও পোলার চাল।
এর আগে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে গোপালগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নির্দেশে প্রথম ধাপে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অসহায় ও অসচ্ছল ৮০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন।
২য় ধাপে ১২০০ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরন করছেন ।
শুধু তাই নয় পলাশের সহায়তায় পুরো রমজান মাসব্যাপী অসহায় ও অসচ্ছল পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রী বিতরনের এ কাযর্ক্রম অব্যাহত ছিলো ।
পলাশ জানান, আমি আমার এলাকায় করোনায় গৃহবন্দি মানুষের পাশে থেকে তাদের দু:খ কষ্টের ভাগিদার হিসাবে প্রথম ধাপে এলাকায় ৮০০ পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরন করেছি। ২য় ধাপে ১২০০ ছিন্নমূল-অসহায় গরীবদের মাঝে ঈদ উপহার ও নগদ টাকা বিতরণ করেছি।
পলাশ আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা ও সেলিম ভাইয়ের নির্দেশে আমি গরীব, অসহায় মানুষের জন্য যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছি মানুষের মাঝে হাসি ফুটানোর এ ক্ষুদ্র প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান গোপালগঞ্জে কেউ না খেয়ে মারা যাবে না।
আমি নিজে ভালো থাকায় বিশ্বাসি না এলাকার সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো থাকতে চাই । এলাকার মানুষের সুখে দু:খে আগেও যেমন ছিলাম ভবিষৎতে ও থাকতে চাই ।